দুই যুবককে বাঁশপেটার সেই দৃশ্য। ছবি সৌজন্য টুইটার।
হাসপাতালের একটি ঘরে চেয়ারের উপর বসে আছেন এক যুবক। আর এক জন মাটিতে। হঠাৎই সেখানে দুই নার্সের আবির্ভাব। হাতে মোটা বাঁশের লাঠি। তার পরই চেয়ারে বসে থাকা যুবককে পর পর কয়েক ঘা দিতে দেখা গেল এক নার্সকে। তার পর আর এক নার্সকে দেখা গেল মাটিতে বসে থাকা যুবককে একের পর এক লাঠি দিয়ে পিঠে মারছেন। আর বলছেন, “আর ছবি তুলবি?”
মাটিতে বসা যুবক বার বার কাকুতি-মিনতি করছিলেন। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি। তার পরেও বেশ কয়েক ঘা পিঠে বসিয়ে দিলেন নার্স। এর পরই দু’জনকে হুমকির সুরে জিজ্ঞাসা করা হয়, তাঁদের মোবাইল কোথায়। দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির মাঝেই ভিডিয়োটি শেষ হয়ে যায়।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হচ্ছে ঘটনাটি বিহারের ছপরার সদর হাসপাতালের। চাকরির জন্য হাসপাতালে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট আনতে গিয়েছিলেন ওই দুই যুবক। কিন্তু সেখানে গিয়ে হাসপাতালের অব্যবস্থার ছবি এবং ভিডিয়ো করতে থাকেন। বিষয়টি হাসপাতালের কর্মীদের কাঁছে পৌঁছলে তাঁরা দুই যুবককে ধরে একটি ঘরে আটকে রাখেন। তার পর মারধর করেন বলে অভিযোগ। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
অক্ষয় পান্ডে নামে এক টুইটার গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয় ১৬ অক্টোবর। সেই ভিডিয়োই এখন ভাইরাল।