পালঘরে বন্যায় মৃত দু’জন। — ছবি পিটিআই থেকে।
মুম্বই-সহ মহারাষ্ট্রে ভারী বৃষ্টি চলছে। জলমগ্ন বাণিজ্যনগরী মুম্বই ও আশপাশের বহু জেলা। বৃহস্পতিবার পালঘরের বন্যায় মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। একটি বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে আহত এক জন। রাতভর বৃষ্টিতে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের ঠাণের বাড়ির সামনেও জল জমেছে। খবর পেয়েই পৌঁছে গিয়েছেন পুরকর্মীরা।
বুধবার সকাল ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত পালঘর জেলায় ৮৯.২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি, জল জমার কারণে জেলার বিভিন্ন তালুকে ৩২টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। পালঘরের দাহানু তালুকের চারোতিতে বন্যার স্রোতে ভেসে যান ৫১ বছরের রমেশ জানিয়া গোশে। পরে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।
মুম্বই, ঠাণে, পালঘরে বৃহস্পতিবার কমলা সতর্কতা জারি করেছে ভারতীয় আবহাওয়া দফতর (আইএমডি)। শুক্রবারের জন্য জারি লাল সতর্কতা। অন্যদিকে রায়গড়, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গে ৯ জুলাই পর্যন্ত জারি লাল সতর্কতা।
আইএমডির ডিরেক্টর জয়ন্ত সরকার বলেন, ‘‘গত তিন-চার দিন মহারাষ্ট্রের মধ্যভাগ এবং কোঙ্কণ অ়়ঞ্চলে যথেষ্ট বৃষ্টি হয়েছে। আগামী চার থেকে পাঁচ দিন এ রকমই ভারী বৃষ্টি হবে।’’ তৈরি রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
জলমগ্ম মুম্বইয়ের রাস্তা। ব্যাহত ট্রেন চলাচল। মধ্য ও পশ্চিম রেলওয়ে কর্তারা জানিয়েছেন, ঠিক সময়ে চলছে লোকাল ট্রেন। কিন্তু নিত্যযাত্রীদের অভিজ্ঞতা অন্য রকম। তাঁরা রেলের দাবি মানতে নারাজ। নেটমাধ্যমে অভিযোগ করে লিখেছেন, শহরতলিতে ১৫ থেকে ২০ মিনিট দেরিতে চলছে লোকাল ট্রেন।