(বাঁ দিকে ) দার্জিলিং চিড়িয়াখানার সদ্য়োজাত তুষারচিতা। লাল পান্ডা (ডান দিকে)। নিজস্ব চিত্র।
পুজোর আগে পাহাড়ের পর্যটকদের সুখবর দিলেন দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু জ়ুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষ। ছয় নতুন অতিথির ‘আবির্ভাব’ হল সেখানে। জন্ম নিল চারটি লাল পান্ডা ও দু’টি তুষারচিতা (স্নো লেপার্ড) শাবক। আপাতত চিড়িয়াখানা থেকে কিছুটা দূরে তোবগেদাড়ায় জাল দিয়ে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছে।
দার্জিলিং চিড়িয়াখানার বন্যপ্রাণ প্রজনন প্রকল্পের (ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রাম) উৎকর্ষ এই ঘটনায় আবার প্রমাণিত। ছয় নতুন অতিথির ‘আবির্ভাবে’ উচ্ছ্বসিত পার্ক কর্তৃপক্ষ। তাঁরা জানিয়েছেন, এই চিড়িয়াখানার অধীনে থাকা তোপবেদাড়া প্রজনন কেন্দ্রে ওই চারটি লাল পান্ডা এবং দু’টি তুষারচিতার জন্ম হয়েছে। দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর বাসবরাজ হোলেইয়াচি বলেন, ‘‘আমরা দারুণ খুশি। ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রামে সফল ভাবে আরও চারটি রেড পান্ডা এবং দু’টি স্নো লেপার্ড জন্ম নিয়েছে ৷ প্রত্যেকেই সুস্থ রয়েছে।’’
মাসখানেক আগে জন্ম হওয়ার পর ‘প্রাথমিক বিপদ পর্যায়’ কাটলে ওই ছ’টি শাবকের খবর এবং ছবি প্রকাশ্যে আসে। চিড়িয়াখানা সূত্রের খবর, গত জুলাই মাসের শেষের দিকে লাল পান্ডা দম্পতি নিক্কি এবং প্রন্ন চার শাবকের জন্ম দেয় ৷ প্রায় একই সময়ে তুষারচিতা রাহানা দুই শাবকের জন্ম দিয়েছে ৷ মায়েদের আদরযত্নেই বেড়ে উঠছে তারা। দিনরাত খুদেদের উপর নজরদারি রাখছেন চিকিৎসক ও চিড়িয়াখানার কর্মীরা।
নতুন চারটি শাবকের জন্মের পর বর্তমানে চিড়িয়াখানায় লাল পান্ডার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯টি। নতুন দু’টি শাবকের জন্মের ফলে তুষারচিতার সংখ্যা বেড়ে ১১ হয়েছে। লাল পান্ডা এবং তুষারচিতার পাশাপাশি এর আগে হিমালয়ান নেকড়ে, টাকিন, হিমালয়ান নীল ভেড়া, হিমালয়ান থরের মতো বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের কৃত্রিম প্রজনন সফল হয়েছে দার্জিলিং চিড়িয়াখানায়।