সাধুদের মারধরের অভিযোগ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে।
মহারাষ্ট্রের পালঘরের পর এ বার শিশুচোর সন্দেহে দুই সাধুকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল মধ্যপ্রদেশের ধার জেলায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুই সাধু গাড়িতে করে ইনদওরে যাচ্ছিলেন। ধার জেলার ধান্নড় গ্রামে এসে তাঁরা পথ হারিয়ে ফেলেন। সে সময় রাস্তার পাশেই কয়েকটি শিশু খেলছিল। সঠিক রাস্তা কোনটা ওই শিশুদের কাছে জিজ্ঞাসা করতেই তারা ভয় পেয়ে পালিয়ে যায়।
কাছেই দাঁড়়িয়ে থাকা বেশ কয়েক জনের নজরে পড়ে বিষয়টি। এর পরই তাঁরা সাধুদের ঘিরে ধরেন। ইতিমধ্যেই গ্রামে রটে যায় শিশুচোর এসেছে। সেই খবর চাউর হতেই আরও গ্রামবাসী হাজির হন। অভিযোগ, এর পরই শিশুচোর সন্দেহে ওই সাধুদের মারধর করতে শুরু করেন গ্রামবাসীরা।
ধার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবেন্দ্র পাতিদার জানান, শিশুচোর সন্দেহে স্থানীয়রা ওই সাধুদের ধরে থানায় নিয়ে আসেন। নেটমাধ্যমে মারধরের যে ভিডিয়ো ছড়িয়েছে সেটা দেখে দোষীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, আক্রান্ত দুই সাধুর মধ্যে এক জন মধ্যপ্রদেশের, অন্য জন রাজস্থানের বাসিন্দা।
২০২০-তে মহারাষ্ট্রের পালঘরে দাদরা ও নগর হাভেলি সীমানার গাঢ়চিনচালে গ্রামে চোর ঢোকার গুজব ছড়ায়। এমনকি, চোরেরা শিশুদের কিডনি কেটে নিয়ে পাচার করে দিতে পারে বলেও রটে যায় পুরো গ্রামে। আরও রটে যায় যে, চোরেরা গ্রামের মধ্যেই রয়েছে। এই অবস্থাতেই গ্রামবাসীরা সামনে পেয়ে যান দুই সাধু এবং তাঁদের গাড়ির চালককে। তাঁদেরই চোর ভেবে নৃশংস ভাবে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ ওই তিন জনকে উদ্ধার করতে গেলে তাঁদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পুলিশের সামনেই বাঁশ-লাঠি দিয়ে পেটানো হয় ওই তিন জনকে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়।