প্রতীকী ছবি।
অসমের নগাঁও ও কাছাড় কাগজ কল নিলাম করার কোনও নির্দেশ বা এনসিএলসিটি আদালতের রায়ের প্রতিলিপি এখনও হাতে পায়নি অসম সরকার। অন্ধকারে নগাঁও ও কাছাড় কাগজ কলের পরিচালকরাও।
আজ অসম বিধানসভায় বিধায়ক মামুন ইমদাদুল হক চৌধুরি সংবাদপত্রে প্রকাশিত কাগজকল নিলাম সংক্রান্ত খবর নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। জবাবে শিল্পমন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি এই কথা জানিয়ে বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে লাভজনক নগাঁও কাগজকলের টাকায় নাগাল্যান্ডের তুলি ও কাছাড়ের পাঁচগ্রাম কাগজকল চালাতে হচ্ছিল।’’ তাঁর দাবি, কাগজকল দু’টি রাজ্যের প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও তাদের পুনরুজ্জীবনের জন্য তিনি ও মুখ্যমন্ত্রী বিস্তর চেষ্টা চালিয়েছেন। পুনরুজ্জীবনের জন্য কেন্দ্রকে রাজিও করানো হয়। কিন্তু ১৯০০ কোটি টাকার প্যাকেজ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় আলোচনার মুখেই এক ব্যবসায়ী বকেয়া চেয়ে এনসিএলটি আদালতে মামলা করেন। সব থমকে যায়। পাটোয়ারি জানান, আদালত কারখানা দু’টি নিলামের নির্দেশ দিলেও সরকারি ভাবে এ নিয়ে কোনও রায় তাঁদের হাতে আসেনি।
অবশ্য কংগ্রেসের বক্তব্য, সবই বিজেপির লোক দেখানো। গত তিন বছর ধরে বিজেপি সরকার মিথ্যে আশ্বাস দিয়ে এসেছে। একই মত কাগজকল কর্মী সংগঠনেরও। শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেন, ‘‘কাগজ কল দু’টির উপরে আড়াই থেকে তিন লক্ষ পরিবার বিভিন্ন ভাবে নির্ভরশীল ছিলেন। এই সময়ে ৩০ কোটি টাকা খরচ করে বেসরকারি সংস্থার চলচ্চিত্র পুরস্কারের আয়োজন না করে কর্মীদের বকেয়া বেতন মেটানো উচিত ছিল সরকারের।’’ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ বলেন, ‘‘বাজপায়ীর আমলেও বিজেপি কাগজ কল বিক্রি করতে চেয়েছিল। আমি তা হতে দিইনি। এখনও আমি থাকলে কাগজকল দু’টি বিক্রি হতে দিতাম না।’’ বিজেপি সাংসদ রাজদীপ রায় লোকসভার জিরো আওয়ারে আত্মহত্যা এবং চিকিৎসার অভাব মিলিয়ে ৫৫ জনের মৃত্যু হওয়ার কথা উল্লেখ করে কর্মচারীদের দু’বছরের বেতন মেটানোর দাবি জানান।