দীর্ঘদিন ধরেই আয় বাড়ানোর নতুন নতুন উপায় খুঁজে চলেছে রেল। একই উদ্দেশ্যে এ বার বিজ্ঞাপনের কাজে আস্ত দু’টি ট্রেন ভাড়া দিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ। হাওড়া-টাটা স্টিল এক্সপ্রেসের পরে শালিমার-কুরলা এক্সপ্রেসও সম্প্রতি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। কাল, মঙ্গলবার থেকে নতুন চেহারার আগাপাশতলা বিজ্ঞাপনে ঢাকা রেক চালু হচ্ছে স্টিল এক্সপ্রেসে। শালিমার-কুরলা এক্সপ্রেসও নতুন চেহারায় ছুটবে কিছু দিনের মধ্যে।
রেল সূত্রের খবর, ট্রেনের বাইরের দেওয়াল বিজ্ঞাপন লাগানোর জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে। বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থা নিজেদের মতো করে বিজ্ঞাপনের ফ্লেক্স লাগাতে পারবে। তবে সব কিছুই করতে হবে সুরক্ষা সংক্রান্ত বিধি মেনে। ট্রেনের নামফলক যাতে বিজ্ঞাপনে ঢাকা না-পড়ে, তা নিশ্চিত করতে হবে। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সঞ্জয় ঘোষ জানান, রেল বোর্ডের নির্দেশ মেনেই ট্রেন ভাড়া দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে চাহিদা বাড়লে অন্যান্য ট্রেনও বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বছরখানেক আগেই যাত্রী-ভাড়া ছাড়া অন্যান্য খাতে আয় বাড়ানোর উপরে জোর দিতে বলেছিল রেল বোর্ড। তখনই সরকারি-বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপন দেওয়ার কাজে বিভিন্ন ট্রেন ভাড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ওই খাতে ১০ হাজার কোটিরও বেশি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। কিন্তু রেল খুব বেশি এগোতে পারেনি। পরে রেলের বিভিন্ন জ়োনকে স্থানীয় ভাবে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করার এবং ট্রেন ভাড়া দেওয়ার অধিকার তুলে রেল বোর্ড। সেই অনুযায়ী স্টিল এক্সপ্রেসের একটি রেক বার্ষিক ৫০ লক্ষ টাকায় টাটা গোষ্ঠীকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তার পরেই শালিমার-কুরলা এক্সপ্রেসের চারটি রেকের প্রতিটি ৫০ লক্ষ টাকায় ভাড়া দেওয়া হয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়াকে। ওই ট্রেনের চারটি রেকের ভোলবদল চলছে।
বছর দুয়েক আগে সিনেমার শুটিংয়ের জন্য ট্রেন ভাড়া দিয়ে কোটি টাকারও বেশি আয় করেছিল দক্ষিণ-পূর্ব রেল। এ বার বিজ্ঞাপনদাতা সংস্থাকে ট্রেন ভাড়া দিয়ে বিকল্প আয়ের রাস্তা খুলছে তারা।