বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েছে একটি গাড়ি। ছবি: পিটিআই ।
মুম্বইয়ের ঘাটকোপরে ভেঙে পড়া বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়ে রয়েছে আরও দু’টি দেহ! এর আগে দুর্ঘটনাস্থল থেকে ১৪ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। বুধবার নতুন করে আরও দু’টি দেহের খোঁজ মেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে উদ্ধার কাজ চলার সময় ওই দু’টি দেহ নজরে আসে। কিন্তু এখনও সেগুলি উদ্ধার করা যায়নি। বিলবোর্ডের নীচে আর কেউ চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তা দেখতে এখনও অভিযান চালাচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যেরা।
উল্লেখ্য, সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ হঠাৎই আকাশ কালো করে ঝড় ওঠে মুম্বইয়ে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় ৬০ ঘণ্টা প্রতি কিমি বেগে ধুলোঝড়। সঙ্গে মুষলধারে বৃষ্টিও। ঝড়ের ধাক্কায় ঘাটকোপর এলাকায় উপড়ে যায় বিজ্ঞাপনের বিশালাকার ধাতব বোর্ডটি। ভেঙে পড়া সেই বিলবোর্ডের নীচে চাপা পড়েন অনেকেই। ঘটনাস্থলের যে সমস্ত ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে, তাতে দেখা যায়, বিজ্ঞাপনী বোর্ডটি ভেঙে পড়ছে একটি পেট্রল পাম্পের উপর। যার আঘাতে দুমড়ে গিয়ে নীচে নেমে আসে পেট্রল পাম্পের ছাদ। চাপা পড়ে পেট্রল পাম্পে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাড়িও। বিলবোর্ডের ধাতব কাঠামো বহু গাড়ির ছাদ ফুঁড়ে ঢুকে যায়। সেই ঘটনাতেই এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৭৫।
স্থানীয়দের তরফে জানা গিয়েছে, ঝড়বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই আশ্রয় নিয়েছিলেন পেট্রল পাম্পে। কেউ কেউ এসেছিলেন তেল ভরাতে। আর সেই সময়েই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্ডে নিহতদের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। একই সঙ্গে মুম্বই শহরের বিলবোর্ডগুলি নিয়ম মেনে লাগানো হচ্ছে কি না, তার তদন্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাজ্য প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এই বিলবোর্ডগুলি যে ধাতব কাঠামোর উপরে লাগানো হয়, সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে কি না, সে দিকে নজর দিতে হবে।
যে সংস্থা অবৈধ বিলবোর্ডটি ঘাটকোপরের ওই জায়গায় লাগিয়েছিল, তার মালিকের নাম ভাবেশ ভিড়ে। ভাবেশ একটি হোর্ডিং সংস্থার মালিক। একটি বিজ্ঞাপন সংস্থাও রয়েছে তাঁর। বিলবোর্ড ভেঙে ১৬ জনের মৃত্যুর জন্য ভাবেশকেই দায়ী করছেন অনেকে। পুলিশ জানিয়েছে, ভাবেশ পলাতক এবং তাঁর মোবাইল ফোন বন্ধ রয়েছে।