হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে দু’মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে গিয়েছিল পরিবার। ছবি: প্রতীকী
কিছুতেই কাশি কমছিল না। তাই হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে দু’মাসের শিশুকন্যাকে নিয়ে গিয়েছিল পরিবার। চিকিৎসক গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাঁকা দেয় তার শরীরে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেই শিশু। গুজরাতের পোরবন্দর জেলার ঘটনা। পুলিশের ডেপুটি সুপার সুরজিৎ মাহেদু জানিয়েছেন, হাতুড়ে চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছে। শিশুটির মায়ের নামেও এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
মাহেদু আরও জানিয়েছেন, শিশুটিকে একটি সরকারি হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-এ রাখা হয়েছে। এখনও পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাকে। শিশুটির অবস্থা স্থিতিশীল।
পোরবন্দরের ডেপুটি পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ আগে শিশুটির সর্দিকাশি হয়েছিল। প্রথমে বাড়ির লোকজনই তাকে পথ্য দিচ্ছিল। তাতেও কাশি না কমায় তাকে দেবরাজভাই কাটারা নামে এক হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান তার মা। অভিযোগ, শিশুটির বুকে এবং পেটে গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাঁকা দেন ওই হাতুড়ে। এর পরেও শিশুটি সুস্থ না হওয়ায় বাবা-মা তাকে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক জয় বাদিয়ানি জানিয়েছেন, ৯ ফেব্রুয়ারি শিশুটিকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। শ্বাসকষ্টে ভুগছিল সে। আইসিইউতে রেখে তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। সে সময় দেখা যায়, শিশুটির বুকে, পেটে পোড়া দাগ। এই ক্ষতের কারণে সে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শিশুটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তার মা এবং হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতে মধ্যপ্রদেশের শাহদোলে হাতুড়ের কাছে চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে আড়াই মাসের একটি শিশুকন্যার। তাকে ৫০ বার গরম রডের ছ্যাঁকা দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ।