কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের বৈঠক। — ফাইল চিত্র।
১০ বছর পর জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট হতে চলেছে। ভোটের দামামা বাজতেই আসরে নেমে পড়েছে সব রাজনৈতিক দল। এ বারের নির্বাচনে ফারুক আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের (এনসি) সঙ্গে হাত মিলিয়ে এক সঙ্গে লড়বে কংগ্রেস। মঙ্গলবারই প্রথম দফা নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দু’দলের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়নি। সূত্রের খবর, কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে ন্যাশনাল কনফারেন্স (এনসি)-এর সঙ্গে দর কষাকষি চলছে হাত শিবিরের। তবে সেই জট কাটাতে সোমবারই উপত্যকায় পৌঁছেছেন কংগ্রেসের দুই প্রবীণ নেতা কেসি বেণুগোপাল এবং সলমন খুরশিদ। এনসি নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন তাঁরা। দু’দলই আশাবাদী, বৈঠকের পরই মিলবে রফাসূত্র। কেটে যাবে জট।
ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি ফারুক এবং সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লার সঙ্গে বৈঠক করবেন বেণুগোপালেরা। উল্লেখ্য, ভোট ঘোষণার পর আসন সমঝোতা নিয়ে ফারুকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু তার পরও আসন সমঝোতা নিয়ে জট কাটেনি। সূত্রের খবর, জম্মু-কাশ্মীরের কয়েকটি ঐতিহ্যবাহী আসন নিয়েই দ্বন্দ্ব। দু’দলের স্থানীয় নেতৃত্ব কেউই ওই আসন ছাড়তে নারাজ। যার ফলে প্রার্থিতালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি কংগ্রেস এবং ফারুকের দল।
প্রায় এক দশক পরে ফের বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে জম্মু ও কাশ্মীরে। ২০১৪ সালে শেষ বিধানসভা ভোট হয়েছিল। সেপ্টেম্বর মাসেই ভোট রয়েছে উপত্যকার ৯০ আসনে। তিন দফায় হবে নির্বাচন। প্রথম দফার নির্বাচন ১৮ সেপ্টেম্বর। সেই দফার নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৭ অগস্ট। সম্প্রতি ওমর সংবাদমাধ্যমে জানান, কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দলের আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত। ৯০ আসনের মধ্যে বেশিরভাগ আসনের জন্যই প্রার্থী বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। তবে কয়েকটি আসন নিয়ে টানাপড়েন চলছে। দ্রুত সেই সমস্যা সমাধান হবে বলে জানিয়েছিলেন ওমর।
সূত্রের খবর, ফারুকেরা কংগ্রেসকে কাশ্মীর উপত্যকায় পাঁচটি আসন ছাড়ার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্য দিকে, জম্মুতে ২৮ থেকে ৩০টি আসন হাত শিবিরকে ছাড়তে চায় এনসি। তবে কংগ্রেস আরও কয়েকটি আসনের দাবি জানিয়েছে। যা নিয়েই দুই দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। কয়েকটি আসনে আবার দু’দলই লড়তে চায় বলে দাবি জানিয়েছে। যা সমস্যাকে আরও ত্বরাণ্বিত করেছে। স্থানীয় কংগ্রেস নেতৃত্ব নির্দিষ্ট কয়েকটি আসন এনসিকে ছাড়তে নারাজ। অন্য দিকে, ফারুকের দলও সেই সব আসন নিয়ে অনড়। বেণুগোপাল এবং সলমনের হস্তক্ষেপে জট কাটে কি না, তা ভবিষ্যতই বলবে।