Porsche Crash in Pune

পোর্শেকাণ্ডে সেই দুই চিকিৎসকের ১৪ দিনের হেফাজত, কিশোরের রক্তের নমুনা বদলের চেষ্টা!

শুক্রবার অতিরিক্ত দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল চিকিৎসক অজয় তাওয়ারে, চিকিৎসক শ্রীহরি হালনোর এবং অতুল ঘাটকাম্বলেকে। তিন জনেই সাসুন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২৪ ২২:০২
Share:

পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত চার জনকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত। — ফাইল চিত্র।

পোর্শেকাণ্ডে সাসুন জেনারেল হাসপাতালের দুই চিকিৎসক, এক কর্মী এবং এক ‘মিডলম্যান’-কে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল পুনের আদালতে। অভিযোগ, অভিযুক্ত কিশোরের অভিভাবকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তার রক্তের নমুনা বদলে দিয়েছিলেন হাসপাতালের ওই দুই চিকিৎসক এবং কর্মী। যাতে বোঝা না যায় যে, দুর্ঘটনার সময় কিশোর মত্ত অবস্থায় ছিল। পুলিশের দাবি, এই দুই পক্ষের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করেছিলেন ওই ‘মিডলম্যান’।

Advertisement

শুক্রবার অতিরিক্ত দায়রা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল চিকিৎসক অজয় তাওয়ারে, চিকিৎসক শ্রীহরি হালনোর এবং অতুল ঘাটকাম্বলেকে। তিন জনেই সাসুন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের সঙ্গেই হাজির করানো হয়েছিল ‘মিডলম্যান’ অমর গায়কোয়াড়কে। অতিরিক্ত দায়রা বিচারক বিআর কাচারে চার জনকে ১৪ দিনের হেফাজতে পাঠিয়েছেন। গায়কোয়াড়কে আরও কিছু দিন হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারী পুলিশ অফিসার সুনীল তাম্বে। জানিয়েছেন, তদন্তে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। সে কারণে গায়কোয়াড়কে আরও জেরার প্রয়োজন।

১৯ মের ওই ঘটনায় পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়েছিলেন বাইকআরোহী দুই আইটি কর্মী। অভিযোগ, গাড়ির অপ্রাপ্তবয়স্ক চালক মত্ত অবস্থায় ছিল। যদিও কিশোরের পরিবার বারবার দাবি করেছে, সে নিরপরাধ। প্রথমে পরিবারের চালক পুলিশের কাছে দাবি করেন যে, সে দিন কিশোর নয়, গাড়ি চালাচ্ছিলেন তিনি। অভিযোগ ওঠে, দুর্ঘটনার পরে সংগ্রহ করা ওই কিশোরের রক্তের নমুনা সরকারি হাসপাতালেই পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল কিশোরের মা। এর জন্য দুই চিকিৎসক এবং এক চিকিৎসা কর্মীকে ঘুষ দেওয়া হয়।

Advertisement

চালককে ঘটনার দায় নিতে হুমকি দেওয়ার জন্য কিশোরের ঠাকুরদা সুরেন্দ্র আগরওয়াল, অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাতে দেওয়ার জন্য তার বাবা বিশাল আগরওয়ালকে এবং রক্তের নমুনা পাল্টানোর চেষ্টা করার জন্য তার মা শিবানী আগরওয়ালকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হাসপাতালের দুই চিকিৎসক এবং ওই চিকিৎসাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আগেই। শুক্রবার তাঁদের হেফাজতের মেয়াদ শেষে আবার আদালতে হাজির করানো হয়েছে। কিশোরটি যে পানশালা থেকে মদ্যপান করে বেরিয়েছিল, সেই পানশালার বিরুদ্ধেও অপ্রাপ্তবয়স্ককে মদ বিক্রি করার জন্য মামলা দায়ের করেছে পুনে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement