—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
প্রবল বর্ষণে উত্তরাখণ্ডের একাংশে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হল। রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, দুর্যোগের কবলে পড়ে ইতিমধ্যেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আবহাওয়া দফতর রাজ্যের বহু জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছে। নৈনিতাল, পিথোরাগড়, দেহরাদূন-সহ মোট সাতটি শহরে বর্ষণ চলবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
এই পরিস্থিতিতে সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিংহ ধামি চারধাম যাত্রায় বেরনো পুণ্যার্থীদের সতর্ক করেছেন। রবিবার ধামি বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কন্ট্রোল রুমে যান। সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তিনি জানান, আবহাওয়ার উন্নতি না হলে পুণ্যার্থীদের যাত্রা বন্ধ রাখা উচিত। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি সমস্ত পুণ্যার্থীর কাছে অনুরোধ করছি, তাঁরা তাঁদের যাত্রা বন্ধ রাখুন এবং আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাসের দিকে নজর রাখুন।” স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এমনকি গঙ্গার জলও বিপদসীমা ছুঁয়েছে। এই পরিস্থিতিতে নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বাস করা মানুষদের নিরাপদ স্থানে সরে আসার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং পুলিশকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
রবিবার রাজ্যের রুদ্রুপ্রয়াগ জেলায় ধস নামে। এই ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫০ বছর বয়সী এক প্রৌঢ়ের। দু’টি গাড়ি ভয়ঙ্করভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। উত্তরকাশী জেলায় ধস নেমে প্রাণ হারান ২০ বছরের এক যুবক। রুদ্রপ্রয়াগে ভারী বৃষ্টির কারণে রবিবার কেদারনাথ যাত্রা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় হরিদ্বারে বৃষ্টি হয়েছে ৭৮ মিলিমিটার। দেহরাদূনে বৃষ্টির পরিমাণ ৩৩.২ মিলিমিটার। ২৭.৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে উত্তরকাশীতে।