এম জি নায়ডু ও নাল্লা উপেন্দ্র।
ঝিলমের তীরে রুটিন টহলদারিতে বেরিয়েছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানেরা। হঠাৎ দেখলেন তীব্র স্রোতে ভেসে যাচ্ছে এক কিশোরী। তাকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন জওয়ানেরা। জওয়ানদের সাহসের প্রশংসায় পঞ্চমুখ স্থানীয় বাসিন্দারা।
সিআরপিএফ জানিয়েছে, আজ বারামুলায় ঝিলমের তীরে টহল দিচ্ছিলেন ১৭৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ানেরা। হঠাৎ এক কিশোরীকে ভেসে যেতে দেখেন তাঁরা। তাকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন এম জি নায়ডু ও নাল্লা উপেন্দ্র নামে দুই জওয়ান। তাঁদের সাহায্য করতে তীরে মানবশৃঙ্খল তৈরি করে দাঁড়ান চার জওয়ান। শেষ পর্যন্ত ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন তাঁরা। বছর চোদ্দোর ওই কিশোরীর নাম নাগিনা।
ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে সিআরপিএফ জওয়ানদের সাহস ও কর্তব্যবোধের প্রশংসা করেন অনেকে। স্থানীয়েরা জানান, জওয়ানেরা উদ্যোগী না হলে ওই কিশোরীকে বাঁচানো কঠিন হত। যে দুই জওয়ান জলে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তাঁদের সাহসিকতার জন্য পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন সিআরপিএফের ডিজি আর আর ভটনাগর।
কাশ্মীরে স্থানীয় বাসিন্দাদের রক্ষা করতে আগেও উদ্যোগী হয়েছেন জওয়ানেরা। এপ্রিলে শ্রীনগরের গুলশন এলাকার বাসিন্দা এক তরুণী সন্তান প্রসবের সময়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর রক্তের প্রয়োজন ছিল। কাশ্মীরে মেডিক্যাল সাহায্যের জন্যও খোলা থাকে সিআরপিএফের হেল্পলাইন ‘মদতগার’। রক্ত না পেয়ে শেষমেশ সেই হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেন ওই তরুণীর পরিবারের সদস্যেরা। শেষ পর্যন্ত রক্ত দিয়ে ওই তরুণীকে সাহায্য করেন ৫৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের এক জওয়ান, গোহিল শৈলেশ।
সম্প্রতি দক্ষিণ কাশ্মীরের উলার হ্রদে নৌকো চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন এক মহিলা ও তাঁর মেয়ে। তখন নৌসেনার কমান্ডোরা তাঁদের প্রাণরক্ষা করেন।