গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কেন্দ্রে চাপের মুখে পড়ে ‘খলিস্তানপন্থী’দের সঙ্গে জড়িত অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিল টুইটার। তবে একই সঙ্গে তারা জানিয়ে দিয়েছে, শুধুমাত্র ভারতেই এই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ হবে। ভারতের বাইরে নয়। টুইটারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, রাজনীতিক, সমাজকর্মীদের বিরুদ্ধে তারা কোনও পদক্ষেপ করবে না। তাতে ভারতের আইন অনুযায়ী বাকস্বাধীনতা লঙ্ঘন হবে বলেই মনে করছে তারা।
কৃষক আন্দোলনের সমর্থনে যখন একের পর এক টুইট হচ্ছিল, বিভ্রান্তিকর তথ্য এবং উস্কানির অভিযোগ তুলে টুইটারকে সেই অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। সরকারের বক্তব্য ছিল, পাকিস্তান এবং খালিস্থানপন্থীরা দেশে উস্কানিমূলক তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি বিগড়ানোর চেষ্টা করছে। অতএব, এ ধরনের অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে টুইটারকে।
সরকারের নির্দেশ মতো বেশ কিছু অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে টুইটার। তবে সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ না করায় সরকার তাদের সতর্ক করে। টুইটার থেকে ১,১৭৮টি খলিস্তান এবং পাকিস্তানপন্থীদের অ্যাকাউন্ট সরিয়ে দেওয়ার জন্য ফের নির্দেশ দেওয়া হয় কেন্দ্রে তরফে। সেই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়, নির্দেশ না মানলে ভারতীয় তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীনে টুইটারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে, জরিমানা করা হবে আধিকারিকদের।
তবে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক তৈরি হয় বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার বিষয়ে। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় টুইটারকে। যদিও পরে তারা সেই অ্যাকাউন্ট আবার চালু করে দেয়।
সূত্রের খবর, ‘ফার্মার জিনোসাইড’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে ২৫৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করা হয়েছে। তার মধ্যে ১২৬টি অ্যাকাউন্ট নিষ্ক্রিয় করে টুইটার। কয়েক দিন আগেই সেগুলো বন্ধ করে দেয় তারা। তবে বন্ধ করার আগে তারা ‘বাকস্বাধীনতা’ এবং টুইটগুলো ‘খবরের যোগ্য’ এই উদাহরণও তুলে ধরে। সরকার যে ১,১৭৮টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে, তার মধ্যে ৫৮৩টি বন্ধ করা হয়েছে বলে টুইটার সূত্রে খবর।
তবে টুইটার জানিয়েছে, বাকস্বাধীনতার পক্ষেই তারা সওয়াল করে যাবে। পাশাপাশি ভারতীয় আইন লঙ্ঘন না করে অ্যাকাউন্টগুলোকে কী ভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেই চেষ্টাও চালিয়ে যাওয়া হবে বলে জানিয়েছে টুইটার। আত্মপক্ষ সমর্থনে টুইটার আরও জানিয়েছে, হ্যাশট্যাগ সংক্রান্ত যে টুইটগুলো সমাজের ক্ষতি করতে পারে, সেগুলো যাতে ট্রেন্ড না করে সেই ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।