PM Narendra Modi-Rahul Gandhi

মোদী, রাহুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ

লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে ধন্যবাদজ্ঞাপন বিতর্কে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য অসত্য বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ০৮:৫৮
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাহুল গান্ধী। —ফাইল ছবি। —ফাইল চিত্র।

অষ্টাদশ লোকসভার প্রথম অধিবেশন সমাপ্ত হলেও, বিতর্ক থামছে না। লোকসভায় রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা নিয়ে ধন্যবাদজ্ঞাপন বিতর্কে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তব্য অসত্য বলে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। সেই অভিযোগের জবাব দিতে না পারলে রাহুলের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনার ইঙ্গিত দিল শাসক দল।

Advertisement

পাল্টা চাপে, ওই একই বিতর্কে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অসত্য ভাষণের অভিযোগ এনে, বিতর্কিত অংশগুলি মুছে ফেলার দাবি জানিয়ে আজ লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি দিলেন কংগ্রেসের লোকসভা সাংসদ মণিকম টেগোর।

ওই বিতর্কে রাহুল যে ভাবে প্রচারের আলো শুষে নিয়েছেন, তাতে অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। রাহুল বলেছিলেন, অগ্নিপথ প্রকল্পে মৃত জওয়ান বা মন্দির নির্মাণে জমি দেওয়া অযোধ্যাবাসী—কেউই ক্ষতিপূরণ পাননি। ওই দুই তথ্য ‘অসত্য’ বলে অভিযোগ দায়ের করে স্পিকারকে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন বিজেপি সাংসদ বাঁশুরি স্বরাজ।

Advertisement

এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় সংসদীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর বক্তব্য, ‘‘স্পিকার ওই সাংসদ (রাহুল গান্ধী)-কে তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিতে পারেন। সাংসদ নিজের দাবি প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ হলে তাঁকে ক্ষমা চাইতে হতে পারে। অথবা স্পিকার চাইলে বিষয়টি স্বাধিকারভঙ্গ কমিটিতে পাঠাতে পারেন। স্পিকার কী সিদ্ধান্ত নেবেন, তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়।’’ সূত্রের মতে, বিরোধী দলনেতা হিসেবে রাহুল প্রথম বক্তব্যেই যে ভাবে প্রধানমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছেন, স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস এনে গোড়াতেই তাঁর ডানা ছাঁটার কৌশল নিতে চাইছে বিজেপি।

পাল্টা চাপ বাড়াতে আজ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সংসদে ভুল তথ্য দেওয়ার অভিযোগে সরব হন কংগ্রেস সাংসদ মণিকম টেগোর। বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ১৬টি রাজ্যে একা লড়ায় কংগ্রেসের ভোট কমে গিয়েছে। সাংসদের মতে, ‘‘ওই দাবি অসত্য। হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, কর্নাটক ও তেলঙ্গনায় দলের ভোট বেড়েছে।’’ কংগ্রেস আমলে সেনাকে হাতিয়ার ও যুদ্ধবিমান না দেওয়ার যে অভিযোগ মোদী করেছিলেন, তা খণ্ডন করে তিনি বলেন, ‘‘সে সময়ে সেনার কাছে জাগুয়ার, মিগ-২৯, সুখোই-৩০, মিরাজ-২০০০ বিমান, পরমাণু বোমা, অগ্নি, পৃথ্বী, আকাশ-এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছিল।’’

ওই বিতর্কে বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী এক দিনও ছুটি নেননি। মণিকমের পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘নির্বাচনী প্রচারে যখন প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত থাকেন, তখন তা কী ধরনের ছুটি হিসেবে গণ্য হয়?’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement