প্রতীকী ছবি।
২০২১ সালের ইউপিএসসি মেনের লিখিত পরীক্ষা ছিল গত কাল। রচনার প্রশ্নপত্র নিয়ে আজ সকাল থেকেই নেটমাধ্যমে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
প্রশ্নপত্রে পরীক্ষার্থীদের দু’টি বিষয়ে রচনা লিখতে বলা হয়েছে। যা নিয়ে আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় কার্যত মিমের বন্যা বয়ে গিয়েছে। প্রতিটি রচনা লিখতে হবে এক থেকে দু’হাজার শব্দের। এ এবং বি বিভাগ থেকে একটি করে রচনা লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের। প্রতিটি বিভাগে রয়েছে চারটি করে মোট আটটি রচনা। যার মধ্যে বেছে নিয়ে নিজের পছন্দের দু’টি রচনা লিখতে হবে পরীক্ষার্থীদের।
ওই আটটি রচনার মধ্যে একটিতে লিখতে বলা হয়েছে,— ‘যা প্রকৃত তা-ই যুক্তিসঙ্গত। যা যুক্তিসঙ্গত তা-ই প্রকৃত’। অন্য একটিতে বলা হয়েছে— ‘গবেষণা কী, আসলে জ্ঞানের সঙ্গে ব্লাইন্ড ডেট’। আর একটি রচনার বিষয়—‘ইতিহাস দু’বার ফিরে আসে। এক বার ট্র্যাজেডি হয়ে, আর এক বার প্রহসন হয়ে’। অন্য একটি রচনার বিষয়, ‘আমার সম্পর্কে আপনার ধারণা হল আপনার প্রতিফলন আর আপনার সম্পর্কে আমার প্রতিক্রিয়া হল আমার সচেতনতা’।
রচনার এই সব বিষয়বস্তু দেখে অনেক নেটনাগরিকই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কেউ কেউ টুইটারে লিখেছেন, “একমাত্র দর্শনের ছাত্রছাত্রীরাই এই সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন।” আবার নেটিজ়েনদের কেউ কেউ বলছেন, “পেপারসেটার যখন বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে যান, তখনই এই ধরনের বিষয়ের মুখে পড়তে হয় পরীক্ষার্থীদের।”
স্বয়ং আইএএস এবং আইএফএস অফিসারেরা যদিও বিষয়টি নিয়ে মশকরাই করেছেন। যাঁদের মধ্যে রাজকুমার এম নামে এক আইএফএস অফিসার মজা করে টুইটারে লিখেছেন, “অনেকেই বলে থাকেন, কয়েক বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসলে মানুষ দার্শনিক হয়ে যায়। মনে হচ্ছে এমন কেউই এই প্রশ্নপত্র তৈরি করেছেন।” অবনীশ শর্মা নামে এক আইএএস অফিসার টুইট করেছেন, “এই প্রশ্নপত্র দেখে মনে হচ্ছে, জগৎ মিথ্যা। আর আমি ঐশ্বরিক।” এর এক আইএএস অফিসার, সোমেশ উপাধ্যায় গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিসের একটি মূর্তির ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “রচনার প্রশ্ন দেখে পরীক্ষার্থীদের অবস্থা ঠিক এমনই হয়েছে!” সামনের বছরের পরীক্ষার্থীদের জন্য মুদিত জৈন নামে এক নেটনাগরকিদের পরামর্শ, ‘রচনার জন্য ভাবী পরীক্ষার্থীরা কোনও দার্শনিকের দর্শনবোধ নিয়ে পড়াশোনা করে রাখতে পারেন’।