পদত্যাগী তৃণমূল নেতা পীযূষকান্তি বিশ্বাস। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছরের ডিসেম্বরে তৃণমূলে যোগদানের ৫ দিনের মধ্যেই ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার সেই পীযূষকান্তি বিশ্বাস ত্রিপুরা রাজ্য তৃণমূলের সভাপতিত্ব, এমনকি দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় চেয়ারপার্সন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো দু’টি বাক্যের পদত্যাগপত্রে পীযূষ লিখেছেন, ‘‘আমাকে ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ।’’
তবে তৃণমূল ছাড়লেও অন্য কোনও দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন পীযূষ। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত কারণেই কিছু দিন রাজনীতির থেকে দূরে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ যদিও আগরতলায় জল্পনা রয়েছে প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পীযূষ বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিংহ মঙ্গলবার পীযূষের দলত্যাগ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে জনপ্রিয় নেত্রী। কিন্তু কোনও আঞ্চলিক দলের পক্ষে ত্রিপুরায় বিজেপির মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’’
গত ফেব্রুয়ারিতে পীযূষের নেতৃত্বে লড়তে নেমে ত্রিপুরার ৬০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র ২৮টিতে প্রার্থী দিতে পেরেছিল তৃণমূল। সামগ্রিক ভাবে ‘নোটা’ (নান অফ দ্য অ্যাবভ অর্থাৎ ভোটযন্ত্রে নাম-থাকা উপরের কাউকেই নয়)-এর চেয়েও কম ভোট পেয়েছিলেন জোড়াফুল প্রতীকের প্রার্থীরা! যদিও ২০২১ সালের নভেম্বরের পুরভোটে আগরতলায় প্রায় ২০ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিল তৃণমূল। আগরতলা পুরনিগমের ৫১টি ওয়ার্ডের ৫১টিতেই বিজেপি জয়ী হলেও, শহরের ২৬টি ওয়ার্ডে তৃণমূল ছিল দ্বিতীয় স্থানে। বামেরা দ্বিতীয় হয়েছিল ২৫টিতে। সে সময় ত্রিপুরার তৃণমূলের দায়িত্বে ছিলেন সুবল ভৌমিক। কিন্তু তিনি বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় দায়িত্ব দেওয়া হয় পীযূষকে।