কলকাতায় ধৃত ৪ প্রতারক, নিয়ে গেল ত্রিপুরা পুলিশ

সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, পুলিশের কনেস্টবল, খোয়াই জেলার সিঙ্গিছড়া গ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ নমঃ দাসকে গত  ডিসেম্বর মাসে ‘মুম্বইয়ের’ একটি সংস্থা থেকে বলা হয়, ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৭০ লক্ষ টাকার বিমা করে দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ ০০:৪৬
Share:

প্রতীকী ছবি।

বিমার টোপ দিয়ে ত্রিপুরার ১৫ জনের কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে পাঁচ প্রতারক। প্রতারিতের সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে বলে জানাচ্ছে পুলিশ। এক প্রতারিতের অভিযোগে সূত্র ধরে পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের চার জনকে গ্রেফতার করে এনেছে ত্রিপুরার পুলিশ। খোয়াই জেলার মুখ্য বিচারক গত কাল তাদের চার দিনের জন্য পুলিশের হেফাজতে পাঠিয়েছেন।

Advertisement

সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ ভট্টাচার্য জানাচ্ছেন, পুলিশের কনেস্টবল, খোয়াই জেলার সিঙ্গিছড়া গ্রামের বাসিন্দা সুরজিৎ নমঃ দাসকে গত ডিসেম্বর মাসে ‘মুম্বইয়ের’ একটি সংস্থা থেকে বলা হয়, ৭ লক্ষ টাকার বিনিময়ে ৭০ লক্ষ টাকার বিমা করে দেওয়া হবে। তার পর বিমার কাগজপত্রও চলে আসে। এর পর বিভিন্ন সময়ে প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে ২৭ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা নেয় তারা। কিন্তু বিনিময়ে কিছু না-পেয়ে সুরজিৎ খোয়াই থানায় মামলা করেন।

থানা থেকে সংস্থাটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। পরে তদন্তের ভার পায় সাইবার অপরাধ দমন শাখা। প্রতারকদের ফোন ট্র্যাক করে তাদের হদিস মেলে কলকাতায়। রাজ্য পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের পুলিশ গত ২৭ নভেম্বর গভীর রাতে দক্ষিণ কলকাতার একটি ফ্ল্যাট থেকে চার জনকে গ্রেফতার করে। এরা হল হীতেশ সাউ, সমীর মুখোপাধ্যায়, ঋতব্রত বিশ্বাস ও অবনীশ সিংহ। এক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ ভট্টাচার্য আদলতকে জানিয়েছেন, ধৃত অবনীশ সিংহ মুম্বইয়ের এক সংস্থায় চাকরি করত। চাকরি ছেড়ে চলে আসে। তার পরে ওই সংস্থার নাম ব্যবহার করে লোকের কাছ থেকে টাকা তুলত।

Advertisement

আরও পড়ুন: আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে এ বার বিঁধতে শুরু করল শরিকরাও

জানা গিয়েছে, ত্রিপুরার বিভিন্ন থানায় কয়েক কোটি টাকা হাতানোর অভিযোগ জমা পড়েছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। অসমেও তারা কিছু লোকের টাকা হাতিয়েছে। ধৃতদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে প্রায় চার কোটি টাকা রয়েছে।

কিছু দিন আগে ওই সংস্থার লোক এসে কনস্টেবল সুরজিৎকে তাঁর টাকা ফেরত দিয়ে যায়। গত কাল ওই সংস্থার আইনজীবীরা বিচারকের কাছে আবেদন জানান, অ্যাকাউন্টগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সেগুলি খুলে দিয়ে তাঁদের ব্যবহার করতে দেওয়া হোক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement