বিপ্লব দেব। ফাইল চিত্র।
ফের মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা শোনা গেল বিপ্লব দেবের মুখে। রাজ্যবাসী যদি তাঁকে আর না চান তা হলে ওই নিজে পদ থেকে স্বেচ্ছায় সরে দাঁড়াবেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী। আগামী রবিবার আগরতলার আস্তাবল ময়দানে বিপ্লবের সভা রয়েছে। সেখনেই তিনি সকলকে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে শুক্রবারের পর মঙ্গলবারও বিপ্লবের এমন মন্তব্য নিয়ে বিজেপি-র তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
তাঁকে আর মুখ্যমন্ত্রিত্বের পদে ত্রিপুরাবাসী চান কি না তা এ বার বিপ্ল সরাসরি জানতে চেয়েছেন। মঙ্গলবার তিনি বলেন, “ত্রিপুরার মানুষ বলুক আমাকে চায় কি না। আগামী ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ২টোয় আস্তাবল ময়দানে যাচ্ছি। সকলকে আসার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের মুখ থেকে শুনতে চাই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে থাকা উচিত কি না। যদি না বলেন, তা হলে আপনাদের ইচ্ছাকে সাদরে মেনে নেব। দলের হাইকম্যান্ডকেও জানিয়ে দেব যে ত্রিপুরাবাসী আমাকে আর চান না।”
দু’দিন আগেই কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে ত্রিপুরায় এসেছেন বিনোদ সোনকার। স্টেট গেস্ট হাউসে তাঁর সামনেই দলের কর্মী-সমর্থকরা আওয়াজ তোলেন, ‘বিপ্লব হটাও, বিজেপি বাঁচাও’। দলের অন্দরে বিপ্লবকে নিয়ে যে একটা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে, সে দিন তা প্রকাশ্যে চলে আসে। এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়ে বিজেপি। সোনকার তৎক্ষণাৎ ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমে পড়েন। তিনি দাবি করেন, দীর্ঘ দিন পর রাজ্যে দলের পর্যবেক্ষক নিয়োগ হল। তাই দলীয় কর্মীরা নিজেদের কথা বলতে এসেছিলেন।
বিরোধীরা বলছেন, বিজেপির পর্যবেক্ষক যতই দাবি করুন যে, কর্মীরা নিজেদের কথা বলতে এসেছিলেন, দলের অন্দরে বিপ্লবকে নিয়ে বড়সড় ফাটল দেখা দিয়েছে তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।
এর আগে শুক্রবারও সাংবাদিক বৈঠকে একই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বিপ্লবকে। ওই দিনও তিনি বলেছিলেন, “ত্রিপুরার মানুষ আমাকে না চাইলে খুশি মনে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেব।” রাজ্যের জন্য তিনি সব সময় কাজ করছেন। রাজ্যের উন্নতির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্যই কাজ করে যেতে চান। সে দিন এ সব কথাও বলেছিলেন বিপ্লব। কিন্তু কিছু মানুষ যে ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন তাতে ব্যথিত হয়েছেন বলেও জানান তিনি।