তথ্যের জগতে একের পর এক ‘বিপ্লব’ ঘটিয়ে চলেছেন ত্রিপুরার প্রথম বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। রবিবার উত্তর-পূর্বের গণতান্ত্রিক জোট নেডার মঞ্চেও ‘নিরাশ’ করলেন না তিনি। মেঘালয়ে কংগ্রেস জমানায় তৈরি প্লাস্টিকের রাস্তার পুরো কৃতিত্ব দিলেন সে রাজ্যে সবে ক্ষমতায় আসা মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমাকে। যা নিয়ে কার্যত রঙ্গতামাশা শুরু হয়েছে বিরোধী শিবিরে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে।
কনরাডের প্রশংসা করতে গিয়ে বিপ্লব বলেন, “আপনি মেঘালয়ে প্লাস্টিকের রাস্তা তৈরি করে গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছেন।” সবে, গত মার্চে ক্ষমতায় এসেছেন কনরাড। ওই প্লাস্টিক মেশানো পথ তৈরিতে তাঁর কোনও ভূমিকাই নেই। কংগ্রেস সরকারের আমলে, ২০১৫ সালে ‘মেঘালয় লাইভলিহুডস অ্যান্ড অ্যাক্সেস টু মার্কেটস’ প্রকল্প চালু হয়। সেই প্রকল্পের অধীনেই রাস্তাটি তৈরি হয়েছে। কনরাড ক্ষমতায় আসার আগেই পশ্চিম খালি হিল জেলার নোংকিয়েংজে গ্রামে ৪৭০ কেজি প্লাস্টিক সংগ্রহ করে ওই রাস্তাটির কাজ হয়। আরও গ্রামে ওই ধরনের রাস্তা তৈরির পরিকল্পনা আছে। এই পদ্ধতিতে রাস্তা তৈরির জনক আসলে তামিলনাড়ুর রাজাগোপালন বাসুদেবন। কিন্তু বিপ্লবের দাবি, কনরাডই ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক সরকারি ভাবে কিনে নিয়ে এমন রাস্তা তৈরির বুদ্ধি বার করেছেন।
‘অমিত ভাইসাব’-এর আশীর্বাদে ত্রিপুরা মুক্তি পেয়েছে বলে বক্তৃতা শুরু করে বিপ্লব এ দিন ঘোষণা করেছেন, ত্রিপুরাকে ‘স্বর্গরাজ্য’ করবেন তিনি। সেই লক্ষ্যে, পুলিশে মহিলাদের জন্য ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষণ, সরকারি চাকরিতে ইন্টারভিউ পদ্ধতি বাতিল করা ও সরকারি কর্মী মারা গেলে বাবা-মাকে পেনশন দেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। ত্রিপুরায় শরিক দল আইপিএফটির প্রধান এনসি দেববর্মা উত্তর ত্রিপুরায় ২১ বছর ধরে আশ্রয় নেওয়া ব্রু শরণার্থীদের মিজোরামে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করার জন্য বিজেপি তথা কেন্দ্রকে অনুরোধ করেন।
নেডার আহ্বায়ক তথা অসমের অর্থ ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ‘ডক্টরেট’ হিমন্তবিশ্ব শর্মার উদ্দেশে বিপ্লব বলেন, ‘‘আপনি ত্রিপুরায় জানপ্রাণ দিয়ে পড়ে আমাদের জিতিয়েছেন। এ বার গোটা উত্তর-পূর্বের ‘ডাক্তারি’ আপনার হাতে।