এআইটিসি ত্রিপুরা টুইটার হ্যান্ডল থেকে সংগৃহীত।
কোথাও ভুয়ো ভোটারের রমরমা। কোথাও ভোট দিতে যাওয়া পুলিশকর্মীকে ছুরি। কোথাও আবার সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে যেতে বাধা। আগরতলা, সুরমা, টাউন বড়দোয়ালী ও যুবরাজনগর— ত্রিপুরার চার বিধানসভায় উপনির্বাচনে বৃহস্পতিবার দিনভর এমন সব অভিযোগই উঠল। তবে বিকেল পাঁচটা নাগাদ ভোটগ্রহণ পর্ব মিটে যাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন জানাল, ভোট হয়েছে শান্তিতেই। বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমালের কথা মেনে নিয়ে কমিশন জানিয়েছে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ত্রিপুরায় উপনির্বাচনে ভোট পড়েছে ৭৬.৬২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে আগরতলা কেন্দ্রের কুঞ্জবন এলাকায় ভোট দিতে যাচ্ছিলেন পেশায় পুলিশকর্মী সমীর সাহা। তাঁর অভিযোগ, ভোট দিতে যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হন। রক্তাক্ত অবস্থায় সমীর বলেন, ‘‘পরিবারের সঙ্গে ভোট দিতে যাচ্ছিলাম। বিজেপির গুন্ডারা আমার পথ আটকায়। ওরা বলে যে, আমার ভোট নেই। প্রতিবাদ করায় প্রথমে আমার হাতে ছুরি মারা হয়। পরে পেটে কোপ মারে। আমার স্ত্রী, ভাইপোদেরও ছুরি মারা চেষ্টা হয়। বিজেপি কর্মীরাই এ জন্য দায়ী।’’ বর্তমানে তাঁর চিকিৎসা চলছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। এ ছা়ড়াও ভুয়ো ভোটার, ভোট লুঠের মতো ভূরি ভূরি অভিযোগ ওঠে চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে।
নির্বাচন কমিশন সব দেখেও নিশ্চুপ হয়ে বসে ছিল বিজেপির চাপে— এমন অভিযোগে সরব হয়েছে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস। বিরোধী প্রার্থীরা আক্রান্ত হয়েছেন বলেও তাদের অভিযোগ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিযোগ করেন, ত্রিপুরার ভোটে বিজেপির নেতৃত্বে অত্যাচার চলেছে। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ পুরোপুরি মানেনি কমিশন। দিনের শেষে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, বিক্ষিপ্ত কিছু গোলমালের খবর পাওয়া গেলেও মোটের উপর ত্রিপুরায় উপনির্বাচন শান্তিপূর্ণ।
ত্রিপুরার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রেও ভোটে বিভিন্ন অশান্তির অভিযোগ করেছে তৃণমূল-সহ বিরোধীরা। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে টাউন বড়দোয়ালী কেন্দ্রে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে। এবং চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যা ভোট পড়েছে তা ২০১৮-এর বিধানসভা ভোটের চেয়েও কম।
বৃহস্পতিবার ত্রিপুরার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি এবং ঝাড়খণ্ডের একটি করে বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হয়েছে। এ ছাড়া পঞ্জাবের একটি এবং উত্তরপ্রদেশের দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেও উপনির্বাচন হয়। সব উপনির্বাচনেরই ভোট গণনা ২৬ জুন, রবিবার।