গোড়া থেকেই এই বিষয়ে কংগ্রেসকে ‘একলা’ করে দেওয়ার চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছিল। ফাইল চিত্র।
ডিএমকে, আপ এবং তারা আগামী দিনে রাজ্যসভার প্রধান নিয়ন্ত্রক বিরোধী ব্লক হয়ে উঠতে চলেছে বলে দাবি তৃণমূল কংগ্রেসের। আজ রাজ্যসভায় অপরাধী শনাক্তকরণ বিল (২০২২) সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর দাবিতে ভোটাভুটির পরে এই দাবি করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।
ভোটে অবশ্যই হেরে গিয়েছেন বিরোধীরা। জিতবেন এমন কোনও আশাও ছিল না। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের বক্তব্য, এটি ছিল বিরোধী রাজনীতির জল মাপা। তাদের দাবি, বুধবার রাতে নাকি স্পষ্ট, কংগ্রেস আর রাজ্যসভায় বিরোধী রাজনীতির কর্মসূচি তৈরি করবে না। তা সম্মিলিত ভাবে তৈরি করবে তৃণমূল, ডিএমকে, আপ-এর মতো দল। কংগ্রেস তাদের অনুসরণ করবে মাত্র।
কেন এই দাবি তৃণমূলের? দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, “ডিএমকে এবং আপ-কে সঙ্গে নিয়ে আমরা রাজ্যসভায় লড়াই করছি। সেই লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিচ্ছে তৃণমূল।” এই নতুন ব্লকের সঙ্গে টিআরএস শিবসেনা, এমনকি, বামদেরও পাশে পাওয়া যাবে বলে দাবি করেছেন ডেরেক। আজ ভোটাভুটির সময় তৃণমূলের রাজ্যসভার ১৩ জনের মধ্যে ১২ জনই উপস্থিত ছিলেন। একই ভাবে ডিএমকে-র ১০ জনের মধ্যে ছিলেন ৮ জন। আপের ৩ জনের মধ্যে ২জন। আপের আসন সংখ্যা এর পরের অধিবেশনেই বেড়ে যাবে পঞ্জাবের তাদের সাফল্যের কারণে। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, কংগ্রেস আজ বিল পাশের সময় কক্ষত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু বাকি বিরোধীরা ভোটাভুটিতে অংশ নিচ্ছে দেখে সেই পথেই চলে। তাদের ৩০ জন সাংসদের মধ্যে ২০ জন আজ উপস্থিত ছিলেন।
রাজনৈতিক সূত্রের খবর, গোড়া থেকেই এই বিষয়টিতে কংগ্রেসকে ‘একলা’ করে দেওয়ার চেষ্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে ছিল। রাজ্যসভার সেক্রেটারি জেনারেলের কাছে এই বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো নিয়ে যে নোটিস তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য আহ্বায়ক সুখেন্দুশেখর রায় জমা দেন, তাতে কংগ্রেসের নামগন্ধও নেই। সেখানে আরজেডি, এসপি, এনসিপি, ডিএমকে এমনকি, বাম সাংসদদের নামও প্রস্তাব (ওই সিলেক্ট কমিটির সদস্যপদের জন্য) করা হয়। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে সুখেন্দুশেখর বলেন, “ওই তালিকায় কংগ্রেস নয়, আমরা নিজেদের দলের কাউকেও রাখিনি। ফলে পক্ষপাতিত্বের কোনও প্রশ্ন ওঠে না।” তিনি জানান, রাষ্ট্রপতির মনোনীত এবং পরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া সাংসদ মহেশ জেঠমালানি আজ তাঁর বক্তৃতায় সরকারকে সমর্থন করেও বলছেন, এই বিলটির সিলেক্ট কমিটিতে যাওয়া উচিত।