প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তুষারঝড় বইছে। ঠান্ডায় হাত-পা, শরীর ক্রমে অবশ হয়ে যাচ্ছিল। দৃশ্যমানতা শূন্যে নেমে গিয়েছিল। ঝোড়ো হাওয়ায় উইন্ডচিটার, জ্যাকেট আর গ্লাভস পরেও যেন ঠান্ডাকে আটকানো যাচ্ছিল না। একটি বড় পাথরের আড়ালে আশ্রয় নিয়েছিলেন ২২ জনের ওই দলটি। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।
শরীরে ক্লান্তি, হাইপোথার্মিয়া এবং অক্সিজেনের অভাবে দলের চার জন চোখের সামনেই মারা গিয়েছিলেন। ফলে বাকিদের মধ্যেও মৃত্যুর আশঙ্কা আরও চেপে ধরেছিল। বেঁচে ফেরা ওই পর্বতারোহী জানান, প্রাণপণে নিজেদের বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থেকে আরও খারাপ হচ্ছিল। তুষারঝড়ের সঙ্গে লড়াই করতে করতে এক এক করে সকলে হাঁপিয়ে উঠেছিল। ঝড়ের কারণে খাবারের কৌটোও খোলা যাচ্ছিল না। সময় যত এগোচ্ছিল, ততই সকলে লড়াই করার ক্ষমতা হারাচ্ছিলেন। ওই পর্বতারোহী আরও জানান, প্রথমে চার জন, তার পর পরে আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হল। পাশে পড়ে নয় সঙ্গীর দেহ, ওই অবস্থাতেই উদ্ধারের আশায় অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁদের।
লোয়ার ক্যাম্প থেকে স্লিপিং ব্যাগ, তাঁবু এবং গরম জল পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেই সাহায্যও যদি সময়মতো না পৌঁছত, তা হলে হয়তো দলের সদস্যেরই মৃত্যু হতে পারত। গত ২৯ মে উত্তরাখণ্ডে উত্তরকাশী-টিহরী সীমানায় সহস্ত্র তালে ট্রেকিংয়ে গিয়েছিল ২২ জনের একটি দল। সেখানে গিয়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে পড়ে তারা। দলটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। দু’দিন ধরে তল্লাশি চালিয়ে ১৩ জনকে সশরীরে উদ্ধার করা হয়। ওই দলের নয় সদস্যের দেহও উদ্ধার করা হয়।