Bank Strike

Bank strike: আটকে ১৮ হাজার কোটির লেনদেন, দেশ জুড়ে ধর্মঘটে প্রভাব পড়ল ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে

ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, গতকাল ও আজ মিলিয়ে দেশে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন আটকে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২ ০৭:১৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

দেশ জুড়ে সাধারণ ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও ব্যাপক প্রভাব পড়ল ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে। ব্যাঙ্ক কর্মীদের সংগঠনের পক্ষে দাবি করা হয়েছে, গতকাল ও আজ মিলিয়ে দেশে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন আটকে গিয়েছে।

Advertisement

অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক এমপ্লয়িজ় ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সি এইচ ভেঙ্কটচলম দাবি করেছেন, গতকাল ও আজ ধর্মঘটের প্রভাবে চেন্নাইয়ের দক্ষিণ গ্রিড থেকে প্রায় ৬ লক্ষ চেক ক্লিয়ারেন্সের জন্য পাঠানো যায়নি বলেই খবর পেয়েছেন তাঁরা। জাতীয় স্তরে প্রায় ২০ লক্ষ চেকের ক্লিয়ারেন্স হয়নি। এর ফলে সব মিলিয়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার লেনদেন আটকে গিয়েছে। এ ছাড়া, ব্যাঙ্কের অন্যান্য কাজও এই দু’দিন বন্ধ থেকেছে। তবে পঞ্জাব স্মল ইন্ডাস্ট্রিস ফেডারেশনের সভাপতি বাদিস জিন্দল ব্যাঙ্কগুলিতে অচলাবস্থার বিরোধিতা করে বলেন, ‘‘ব্যাঙ্কগুলির জন্য বছরের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়কে ধর্মঘটের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে। শনি ও রবিবার ব্যাঙ্কগুলি এমনিতেই বন্ধ ছিল। এর পরে সোম ও মঙ্গলবার ধর্মঘটের ফলে ব্যাঙ্কিং লেনদেনে প্রভাব পড়েছে চার দিনের।’’ জিন্দলের মতে, ব্যাঙ্কিং লেনদেনের সঙ্কটের প্রভাব ব্যবসায়ী, আমদানি-রফতানিকারকদের উপর পড়বে। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে তাঁদের।’’

তবে ব্যাঙ্ক বন্ধ হওয়ায় দেশের সাধারণ মানুষের উপর যে প্রভাব পড়েছে, সেই জন্য ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ভেঙ্কটচলম। যুক্তি দিয়েছেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পক্ষে তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে মানুষ নিশ্চয়ই বুঝবেন। কারণ, মানুষের টাকার নিরাপত্তা রক্ষা ও সাধারণ মানুষকে ঋণদানের আওতায় আনার দাবি তুলে আন্দোলনে নেমেছেন তাঁরা। কয়েকটি ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের বিরোধিতা, পরিষেবা খরচ কমানোর দাবিও তুলেছে ব্যাঙ্ক কর্মচারীদের সংগঠনগুলি।

Advertisement

গতকাল ও আজ দেশের দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকা সাধারণ ধর্মঘটের প্রভাব দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিল্পাঞ্চলের উপরে পড়েছে। ব্যাঙ্ক, বিমা, কয়লা, ইস্পাত ক্ষেত্রের পাশাপাশি আটটি রাজ্যে বন্‌ধের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষে দাবি করা হয়েছে।

এদিকে, পেট্রোপণ্যের লাগামছাড়া দাম নিয়ে আজ মোদী সরকারকে নিশানা করেছে সিপিএম। পেট্রলের দাম আজ লিটারে ৮০ পয়সা এবং ডিজেলে লিটার প্রতি ৭০ পয়সা বেড়েছে। ফলে দিল্লি ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের শহরগুলিতে প্রতি লিটার পেট্রলের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছে। সিপিএম নেতা সীতারাম ইয়েচুরি আজ টুইট করে বলেছেন, ‘‘কোভিড অতিমারির এতবড় ধাক্কার পরেও মোদী সরকার মানুষকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। উল্টে ধীরে ধীরে তাঁদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’’ পেট্রোপণ্যের উপরে দ্রুত কেন্দ্রীয় কর কমানোর দাবি তুলেছেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement