অসমে বেকারত্ব ঘোচাতে ও আর্থিক উন্নয়নের জন্য কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তি ও ক্ষুদ্রশিল্পে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের উপরে জোর দিচ্ছে অ্যাসোচেম। অ্যাসোচেম কর্তাদের দাবি, পরিবেশ নিয়ে অনড় থাকলে রাজ্যে শিল্পের বিকাশ সম্ভব হবে না।
অ্যাসোচেমের সেক্রেটারি জেনারেল ডি এস রাওয়াত ও চেয়ারম্যান বাবুলাল জৈন আজ সাংবাদিক বৈঠকে জানান, রাজ্যে সাক্ষরতার হার ৭৪ শতাংশের বেশি। কিন্তু গত এক দশকে
চাকরি ক্ষেত্রে ৫৬.৮ শতাংশ বিকাশ হলেও অন্য ক্ষেত্রে বিকাশের হার নগণ্য। কৃষি ও সহযোগী ক্ষেত্রে বিকাশ মাত্র ২০ শতাংশ। অথচ অসমের ৭৫ শতাংশ মানুষ কোনও না কোনও ভাবে কৃষির উপরে নির্ভর করে। কৃষি বিকাশের পিছনে আরও অনেক ক্ষেত্রই সক্রিয় থাকে। কৃষি ও ক্ষুদ্র শিল্প বিকাশে জোর না দিলে রাজ্যের উন্নতি হবে না। বেকারত্ব, পরিকাঠামোর অভাব, পুরনো প্রযুক্তি ও পরিবশগত কারণে বিকাশ থমকে আছে।
রাওয়াতের মতে, সরকার ও ব্যবসায়ী শ্রেণিকে একে অন্যের উপরে পুরোপুরি ভরসা করতে হবে। আমলাতন্ত্র ও পরিবেশের উপরে অতিরিক্ত গুরুত্ব দিলেন বিকাশ আসবে না। নিজের রাজ্য উত্তরাখণ্ডের উদাহরণ টেনে
রাওয়াত বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যও পরিবেশ নিয়ে সংবেদনশীল অবস্থায় ছিল। কিন্তু তার মধ্যেও বিভিন্ন শিল্পোদ্যোগকে
আমরা টেনে এনেছি। নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, পরিবেশে বেশি গুরুত্ব দিলে শিল্প
ও বিকাশ আসবে না। আর শিল্প না এলে অর্থনীতি উন্নত না হলে পরে কিছুই বাঁচানো যাবে না। দুই দিকেই আপোস করতে হবে।’’
জৈন জানান, রাজ্যের সার্বিক অর্থনৈতিক ভোলবদলে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রয়োজন। তাঁর মতে, শিল্প বিকাশে নতুন আইনের দরকার নেই। বর্তমান আইনেই বিভিন্ন প্রথার সরলীকরণ করে ও ভারী শিল্প নয়
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগে বেশি নজর দিলেই লাভ। তিনি গুয়াহাটির সঙ্গে অন্য রাজ্য ও প্রতিবেশি দেশগুলির বিমান যোগাযোগ বৃদ্ধি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র ও হিমঘরের সংখ্যা বৃদ্ধি, পর্যটন ক্ষেত্রে বিকাশ ও তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে 'সাইবার সিকিওরিটি'র উপরে জোর দেন।