গত কয়েক দিনে কাশ্মীর উপত্যকায় এই ছবিই দেখা গিয়েছে। পিটিআইয়ের তোলা ফাইল চিত্র।
ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর নয়, সুন্দর। সুন্দর সেই কাশ্মীর উপত্যকায় শীতের মরসুম উপভোগ করতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকেরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, সেখানকার প্রায় সমস্ত টুরিস্ট রিসর্টই আগামী বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত ভর্তি হয়ে গিয়েছে।
মূলত উপত্যকার গুলমার্গ এবং পহেলগাঁওতেই ভিড় বেশি। অভিজাত রিসর্টগুলিতেও জানুয়ারি পর্যন্ত বুকিং হয়ে গিয়েছে। প্রতি দিন প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যটক সেখানে পৌঁছচ্ছেন। তার মধ্যে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের টুরিস্টই রয়েছেন প্রায় ৩০০ জন। বাকিরা স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা। ছুটি কাটানো ছাড়াও স্কি করতে বা গুলমার্গের রোপওয়ের টানেই কাশ্মীর উপত্যকায় ভিড় করছেন বহু পর্যটক।
জম্মু ও কাশ্মীর কেবল কর্পোরশেনের তরফে জানানো হয়েছে, সেখানকার নিম্ন উপত্যকায় স্কি বন্ধ থাকায় রোপওয়ের একাংশ খোলা রাখা হয়েছে। তবে স্কি ছাড়াও গুলমার্গের গন্ডোলা নামে খ্যাত ওই রোপওয়ে চড়তেও পর্যটকদের জমায়েত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘বাড়ি থেকে কাজ’ পর্বে হ্যাকার দৌরাত্ম্য বাড়ল, ভারতে শিকার ৩ কোটি ৬০ লক্ষ
আরও পড়ুন: আজ ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’, কেন্দ্রের ‘রাজনৈতিক যোগ’ তত্ত্ব উড়িয়ে পাল্টা চিঠি কৃষক সংগঠনগুলোর
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শীতের মরসুমের শুরুতেই কাশ্মীর উপত্যকায় তাপমাত্রার পারদ হু হু করে নীচে নামছে। পহেলগামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সর্বোচ্চ চাপমাত্রা ছিল ৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সর্বনিম্ন শূন্য। রবিবার শ্রীনগরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সর্বনিম্ন ১ ডিগ্রি। উপরে তাপমাত্রা আরও কম। রাতে হিমাঙ্কের নীচে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আশপাশের সবর্ত্রই বরফে ঢাকা পড়েছে। বরফে পরিণত হয়েছে ডাল লেকের জল। যদিও তাতে পর্যটকদের উৎসাহে ভাটা পড়েনি!