অসহিষ্ণুতা বিতর্কে মুখ খোলায় ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’-র বিজ্ঞাপন থেকে সরানো হল আমির খানকে। চুক্তির মেয়াদ শেষের অজুহাত দেখিয়ে আমির খানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করল কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। বুধবার দিনভর মিডিয়া রিপোর্টে প্রচারিত হয়, পর্যটন মন্ত্রকের এই বিজ্ঞাপন থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলিউড অভিনেতাকে। শেষমেশ এ নিয়ে বিবৃতি দিয়ে মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, যে সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রকের চুক্তি হয়েছিল, তাদের সঙ্গে আমিরের চুক্তি শেষ। অতএব, আমিরকে ছেঁটে ফেলতে আর কোনও বাধাই রইল না মোদী সরকারের।
কেন্দ্রীয় পর্যটন এবং সংস্কৃতি দফতরের মন্ত্রী মহেশ শর্মা পরিষ্কার বলেন, “আমাদের অতিথি দেব ভবঃ প্রচারটির জন্য একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থার চুক্তি হয়েছিল। ওই সংস্থাই আমির খানকে বিজ্ঞাপনে নিয়ে আসে। এখন বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে আমাদের চুক্তি শেষ, স্বাভাবিক ভাবেই ওই অভিনেতার সঙ্গে আর কোনও সম্পর্কও রইল না।” তবে কি আমির পর্যটন দফতরের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর থাকছেন? মহেশ শর্মা সাফ জবাব, “না।”
এ দিন সকাল থেকেই বিভ্রান্তি শুরু হয় অমিত মালব্যের একটি টুইট থেকে। বিজেপি-র আইটি, ওয়েবসাইট এবং সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে থাকা অমিত টুইট করেন, “ ‘ইনক্রেডিবল ইন্ডিয়া’-র ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে থাকা আমির খানকে সরানো হল।” এর পরই একের পর এক বৈদ্যুতিন চ্যানেলের মাধ্যমে সে খবর দেখানো শুরু হয়।
গত নভেম্বরে অসহিষ্ণুতা বিতর্কে মুখ খোলাতেই আমিরের উপর এই কোপ নেমে এসেছে বলে মত একাংশের। এর পরই আসরে নামে মন্ত্রক। টুইটে রীতিমতো বিবৃতি দেয় মন্ত্রক। বলা হয়, “মিডিয়াতে আমির খানকে নিয়ে বেশ কয়েকটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে জানানো হচ্ছে যে, এ বিষয়ে মন্ত্রকের অবস্থান একই রয়েছে।” পাশাপাশি, এ-ও জানানো হয়, যে বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রকের চুক্তি হয়েছিল তারাই আমিরকে বিজ্ঞাপনে নিয়ে এসেছিল। ওই সংস্থার সঙ্গে মন্ত্রকের চুক্তি শেষ হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। ফলে আমিরের সঙ্গেও সম্পর্ক শেষ। যদিও গোটা বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি ওই সংস্থা।