মাদুরাইতে অগ্নিকাণ্ডের পর সেই ট্রেন। ছবি: সংগৃহীত।
তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রেনে আগুন লেগে যাওয়ার ঘটনায় ট্যুর আয়োজককে গ্রেফতার করল রেল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে ট্রেনে ওঠার অভিযোগ রয়েছে। সিলিন্ডার থেকেই ট্রেনে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ২০-র বেশি।
রেল জানিয়েছে, আহতদের চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তাঁদের লখনউতে পাঠানোর জন্য বিমানের টিকিটের ব্যবস্থাও করে দিয়েছে রেল। এ ছাড়া, মৃতদেহগুলিকে আকাশপথে লখনউতে ফেরত পাঠানো হবে।
তামিলনাড়ুর পুনালুর-মাদুরাই এক্সপ্রেসের একটি কামরায় শনিবার ভোরবেলা হঠাৎ আগুন লেগে যায়। সেই সময় একটি স্টেশনে ঢোকার মুখে ট্রেনটি দাঁড়িয়ে ছিল। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই কামরাটিতে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা সকলেই লখনউয়ের বাসিন্দা। একটি ট্যুর সংস্থা এই পর্যটনের আয়োজন করেছিল। ট্রেনের একটি কামরা আলাদা করে ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। সেখানেই তোলা হয়েছিল গ্যাস সিলিন্ডার, যা রেলের নিয়মবিরুদ্ধ। এখানে প্রশ্ন উঠেছে রেলের নিরাপত্তা নিয়েও। কী ভাবে সিলিন্ডার-সহ ট্রেনে উঠলেন ওই পর্যটকেরা? রেলের নিরাপত্তারক্ষীরা স্টেশনেই তাঁদের আটকালেন না কেন?
দক্ষিণ রেলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, পর্যটকদের একটি কামরায় বেআইনি ভাবে রান্নার গ্যাস নিয়ে যাওয়ার কারণে ট্যুর অপারেটরের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং রেলওয়ে আইনে মামলা করেছে রেল পুলিশ। ট্যুর অপারেটরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মাদুরাইকাণ্ডে মৃতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা আগেই জানিয়েছে রেল। ট্রেনে আগুন লাগার খবর পেয়ে দমকল পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় দু’ঘণ্টা লেগে যায়। পোড়া কামরা থেকে তড়িঘড়ি আহত পর্যটকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয় ১০টি মৃতদেহ।