গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
৭৮তম স্বাধীনতা দিবস: লালকেল্লায় মোদীর বক্তৃতা, রেড রোডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা
আজ ভারতের ৭৮তম স্বাধীনতা দিবস। সেই উপলক্ষে দিল্লির লালকেল্লায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি দেশের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী যিনি ১১তম বার লালকেল্লায় এই বক্তৃতা করবেন। এর আগে এই নজির রয়েছে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জহওরলাল নেহরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর। ২০২৪ সালে কেন্দ্রে তৃতীয় বার সরকার গঠনের পর এটাই প্রথম তাঁর স্বাধীনতা দিবসের বক্তৃতা। পাশাপাশি, দেশের অন্য রাজ্যগুলিতেও স্বাধীনতা দিবস উদ্যাপিত হবে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকাল সাড়ে ১০টায় রেড রোডে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। এ ছাড়াও রাজ্যের পক্ষে আরও পাঁচটি জায়গায় সরকারি অনুষ্ঠান হবে। যেখানে রাজ্য সরকারের পক্ষে স্বাধীনতা দিবস পালনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যের সাংসদ ও মন্ত্রীদের।
প্রতিবাদী চিকিৎসকেরা কি এ বার কাজে যোগ দেবেন
আরজি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদে যাঁরা আন্দোলন করছেন, সেই সকল জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। বুধবার তিনি বলেছেন, ‘‘পায়ে ধরে বলছি, এ বার পরিষেবা দিন।’’ কিন্তু আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরা জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই তাঁরা কর্মবিরতি তুলছেন না। আন্দোলনের মঞ্চ থেকে তাঁরা যে সমস্ত দাবি তুলেছিলেন, এখনও তা পূরণ হয়নি। সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি দেখে এ বিষয়ে তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে চিকিৎসকদের কর্মবিরতিতে কলকাতার সরকারি হাসপাতালগুলিতে আজও পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা।
আরজি কর-কাণ্ডের তদন্ত: কিছু বলবে কি সিবিআই
মঙ্গলবার তদন্তভার হাতে পেয়ে বুধেই ময়দানে নেমে পড়েছে সিবিআই। দিল্লি থেকে এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বিশেষ দল। অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে আরজি কর হাসপাতালের অকুস্থল থেকেও ঘুরে এসেছেন তাঁরা। প্রথম দিনের তদন্তের পর, কিছু কি হাতে পেলেন সিবিআই আধিকারিকেরা? তদন্ত কোন পথে, তা নিয়ে কোনও আভাস কি মিলবে আজ? নজর থাকবে এই খবরে।
গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্য জুড়ে হাসপাতালে পরিষেবা কি স্বাভাবিক হবে
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ঘটনায় প্রতিবাদের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে সারা বাংলায়। জেলায় জেলায় সরকারি হাসপাতালগুলিতে আন্দোলন চলছে। চলছে কর্মবিরতি। আরজি কর-কাণ্ডের সুবিচার, দোষীদের কঠোর শাস্তি এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ফলে হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে। আজ পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় কি না, তা নজরে থাকবে।
‘রাত দখল করো’ কর্মসূচির পর আন্দোলনের অভিমুখ
স্বাধীনতার মধ্যরাতে নারী স্বাধীনতার জন্য ‘মেয়েরা রাত দখল করো’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল প্রথমে শহরের তিন জায়গায়। অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড এবং কলেজ স্কোয়্যার। কিন্তু সেই ডাকে সাড়া দিয়েছিল কার্যত গোটা বাংলা। তার ফলে গোটা রাজ্যের ছবিটা পাল্টে গেল বুধবার মাঝরাতে। কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি, কৃষ্ণনগর থেকে মেদিনীপুর— রাজপথ দল করে নিলেন মেয়েরা। পাশে কোথাও কোথাও রইলেন পুরুষেরাও। এ ভিন্ন এক বঙ্গ দর্পণ। বুধবার বাংলার গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্দোলন যে ভাবে জাতীয় স্তরেও ছড়িয়ে পড়েছে, তাতে এর ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। আন্দোলন কি জারি থাকবে, না কি কালের নিয়মে থিতিয়ে যাবে? আপাতত ভবিষ্যতের গর্ভে এই প্রশ্নের উত্তর।