সলমন খান। ফাইল চিত্র।
কৃষ্ণসার হত্যা মামলার রায়। জোধপুরের আদালতে ভাগ্য নির্ধারণ হতে চলেছে সলমন খান এবং আরও চার অভিনেতার। ১৯৯৮ সালে ‘হম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে গিয়ে জোধপুরের কঙ্কানি গ্রামের কাছে দু’টি কৃষ্ণসার হত্যার অভিযোগ ওঠে সলমন খান, সইফ আলি খান, তব্বু, সোনালি বেন্দ্রে ও নীলমের বিরুদ্ধে।
বুধবার সকালেই জোধপুরে পৌঁছন তব্বু। সে সময়ে তাঁকে উত্ত্যক্ত ও হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিমানবন্দর থেকে বেরোনোর সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে তব্বুর একেবারে কাছে পৌঁছে যায় সে এবং অভিনেত্রীর সঙ্গে অভব্য আচরণ করে। বাউন্সাররা তাকে কোনও মতে সরিয়ে তব্বুকে গাড়িতে তুলে দেন। এখনও পর্যন্ত লিখিত ভাবে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।
অন্য দিকে, জোধপুর বিমানবন্দরে পৌঁছে গাড়িচালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠল সইফ আলি খানের বিরুদ্ধে। সাংবাদিকদের দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়েন অভিনেতা। চালককে ধমকে বলেন, ‘‘সিসা উপর করো, অর না পড়েগি এক।’’ ক্যামেরাবন্দি হয়েছে সেই ফুটেজ।
আরও পড়ুন: দলিত বিক্ষোভে পাল্টা তির মোদীর
২৮ মার্চ নিম্ন আদালতে কৃষ্ণসার মামলার চূড়ান্ত পর্যায়ের শুনানি শেষ হয়েছে। সলমনের আইনজীবী এইচ এম সারস্বতের দাবি, সরকারি কৌঁসুলি অভিযোগের সাপেক্ষে প্রমাণ সংগ্রহ করতেই পারেননি। মামলা সাজাতে ভুয়ো সাক্ষী দাঁড় করিয়েছেন। এমনকী, বন্দুকের গুলিতেই যে কৃষ্ণসার দু’টির মৃত্যু হয়েছিল, তা-ও প্রমাণ করতে পারেননি সরকারি কৌঁসুলি। আগামিকাল প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খাতরি ওই মামলার রায় দেবেন।