প্রতীকী ছবি।
চিকিৎসার নামে ‘বীভৎস অত্যাচারে’ দশম শ্রেণির এক ছাত্রের মৃত্যু ঘটানো হয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের হল কমলপুর থানায়। মৃত কিশোর মা, সিপাহিজলা জেলার নেতাজী নগরের বাসিন্দা শেফালী দাস বুধবার এই লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কমলপুর থানার আধিকারিক সঞ্জীব দেববর্মা। অভিযুক্ত চিকিৎসক সুজিত দেবনাথের বিরুদ্ধে ৩০৪ ধারায় চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ আনা হয়েছে৷ ফোন না-ধরায় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শেফালী দাস এজাহারে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলে দেবাশিস নমঃ-র পেশির সমস্যা ছিল। লোকমুখে শুনে গত ২৮ সেপ্টেম্বর কমলপুরের মধ্যপাড়া নোয়াগাঁওয়ে সুজিত দেবনাথের চিকিৎসা আবাসে ছেলেকে নিয়ে যান চিকিৎসা করাতে৷ সুজিত আশ্বাস দেন এক-দেড় বছরে ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে। লাগবে ৬ লক্ষ টাকা। পরিবার তাতে রাজি হয়ে যায়। দেবাশিসকে দু’টি ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় সে দিন৷ তার পরে একটি ঘরে রেখে কখনও শরীরের উপর রেখে দেওয়া হয় সিমেন্ট ভর্তি বস্তা, কখনও ভারী ইট-পাথর৷ অসংখ্য পিন ফোটানো হয় শরীরে৷ মায়ের অভিযোগ, দেবাশিস এই যন্ত্রণা সহ্য করতে পারত না৷ আর্তনাদ করত৷ কিন্তু, ছেলে সুস্থ হয়ে যাবে, এই আশায় ধৈর্য ধরে ছিলেন তাঁরা৷ পরে দেবাশিসের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়৷ গত ৩ অক্টোবর জোর করে ছেলেকে সেখান থেকে নিয়ে বাড়ির লোকেরা আগরতলা গোবিন্দবল্লভ পন্থ হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন। পথে অবস্থা খারাপ হচ্ছে দেখে, খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে চিকিৎসকরা ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।