কালী-আসন কী ভাবে করবেন? চিত্রাঙ্কন: শৌভিক দেবনাথ।
কালী-আসন প্রাচীন ভারতের যোগাসন পদ্ধতির একটি। এই আসনের ভঙ্গিমাকে ‘দেবী ভঙ্গি’ বা ‘উৎকট কোণাসন’ও বলা হয়। দেবী কালীর নামানুসারে এই আসনের এমন নামকরণ করা হয়েছে।
কালী-আসনের পদ্ধতি খুব কঠিন নয়। এই আসন নিয়মিত অভ্যাস করলে শক্তি বৃদ্ধি হয়। মনোযোগ বাড়ে এবং পেশির নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। কোনও কঠিন রোগ থেকে সেরে ওঠার পরে যখন শারীরিক দুর্বলতা বেড়ে যায়, তখন এই আসন অভ্যাস করারই পরামর্শ দেন প্রশিক্ষকেরা। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য এই আসন খুবই উপকারী।
কী ভাবে করবেন কালী-আসন?
১) প্রথমে দুই পায়ের মাঝে অনেকটা ব্যবধান রেখে দাঁড়ান।
২) দুই পায়ের পাতা বাইরের দিকে থাকবে।
৩) এ বারে দুই হাত কাঁধের সমান্তরালে উপরে তুলুন।
৪) পিঠ সোজা রেখে কোমর ভাঙুন। মেরুদণ্ড টানটান থাকবে।
৫) এর পর কোমর থেকে শরীর ভাঁজ করে দুই হাত পায়ের দিকে নামান ও শরীর বাঁকানো শুরু করুন। বাঁ দিক থেকে ডান ও ডান দিক থেকে বাঁ দিকে শরীর মোচড় দিতে হবে।
৬) শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকবে।
৭) ওই ভঙ্গিমায় কিছু ক্ষণ থেকে আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসুন।
উপকারিতা কী কী?
শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে।
পেশির শক্তি বাড়বে।
পিঠ-কোমরের ব্যথা থাকলে তা দূর হবে।
রজোনিবৃত্তির পরে এই আসন অভ্যাস করে হরমোনের ভারসাম্য ঠিক থাকবে।
হজমশক্তি বাড়বে, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হবে।
মনোযোগ ও একাগ্রতা বাড়বে।
সতর্কতা
আসনটি অভ্যাসের সময়ে নিয়ম মেনে করতে হবে। কোনও রকম শারীরিক অস্বস্তি হলে করবেন না।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই আসন অভ্যাস না করাই ভাল।
অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকের পরামর্শ ছাড়া আসন অভ্যাস করবেন না।