এয়ার চিফ মার্শাল রাকেশ কুমার সিংহ ভাদৌরিয়া। ছবি- ফেসবুকের সৌজন্যে।
ফেব্রুয়ারিতে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের যুদ্ধবিমানের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াই চালানোর সময় ভারতীয় বায়ুসেনার ‘এমআই-১৭ ভি-৫’ হেলিকপ্টারটিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নামানোটা ‘বড় ভুল’ হয়ে গিয়েছিল। এই স্বীকারোক্তি আর কারও নয়, শুক্রবার এ কথা কবুল করেছেন খোদ বায়ুসেনা প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল রাকেশ কুমার সিংহ ভাদৌরিয়া।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারির ওই ঘটনায় বায়ুসেনার ৬ জন ও এক সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছিল। যাঁরা গুলি করে নামিয়েছিলেন নিজেদের ওই হেলিকপ্টারটিকে, বায়ুসেনার সেই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বায়ুসেনা প্রধান।
এয়ার চিফ মার্শাল ভাদৌরিয়া এ দিন বলেন, ‘‘আমাদের এটা একটা বড় ভুল। আমরা এটা মেনে নিচ্ছি। আমাদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রই হেলিকপ্টারটিকে ধ্বংস করেছিল। বায়ুসেনার ‘কোর্ট অফ এনকোয়ারি’ গত সপ্তাহে তদন্ত শেষ করেছে। আমাদের ভুল সেই তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তার প্রেক্ষিতে প্রশাসনিক ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সে জন্যও নেওয়া হচ্ছে যথাযথ ব্যবস্থা।’’
আরও পড়ুন- বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম বিমানবাহিনী ভারত, অনেক নীচে পাকিস্তান
আরও পড়ুন- উৎসবের মরসুমে রাজধানীতে জইশ-শঙ্কা, বিমানবন্দরে জারি সতর্কতা
বায়ুসেনার যুদ্ধবিমান পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢুকে বালাকোটে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ‘জইশ-ই-মহম্মদ’-এর প্রশিক্ষণ ঘাঁটির উপর বোমাবর্ষণের পরের দিনই শ্রীনগরের বাডগামে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে নিজেদের ‘এমআই-১৭ ভি-৫’ হেলিকপ্টারটিকে ধবংস করেছিল বায়ুসেনা।
এয়ার চিফ মার্শাল এ দিন জানিয়েছেন, ভারতীয় বায়ুসেনার ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছিল শ্রীনগর এয়ারবেসে বসানো স্পাইডার এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম থেকে। যে অফিসাররা সে দিন স্পাইডার এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা ভেবেছিলেন শত্রু পক্ষের কোনও মিসাইল ঢুকছে। তখন সেটিকে ধ্বংস করতে তাঁরা তড়িঘড়ি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিলেন। ওড়ার পর তখন মাত্রই দশ মিনিট আকাশে ছিল হেলিকপ্টারটি। সেটি দু’টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ার পর তাতে আগুন ধরে যায়।