এখানেই কারশেড তৈরি হওয়ার কথা। ছবি: রয়টার্স।
গাছ কাটা রুখতে এ বার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের দ্বারস্থ হতে চলেছেন মুম্বইয়ের আন্দোলনকারীরা। সেই উদ্দেশ্যেই রবিবারই দিল্লি রওনা দিচ্ছে তাঁদের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে প্রধান বিচারপতিকে বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগের আর্জি জানাবেন তাঁরা, যাতে অ্যারে কলোনিতে মেট্রোর কারশেডের জন্য বৃক্ষনিধন বন্ধ করা যায়।
আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘‘আদালতে পিটিশন জমা দেওয়া বা আইনি প্রক্রিয়া মেনে এগনোর মতো সময় নেই হাতে। তত দিনে মুম্বই পুরসভা কর্তৃপক্ষ অ্যারে ফাঁকা করে ফেলবে। অ্যারে-কে বাঁচাতে তাই প্রধানবিচারপতির দরজায় কড়া নাড়তে হচ্ছে।’’
প্রায় পাঁচ লক্ষ সবুজ গাছপালায় ঢাকা ১২৮০ হেক্টর আয়তনের অ্যারে মায়ানগরীর ফুসফুস হিসাবে পরিচিত। ওই এলাকাতেই মেট্রো রেলের কারশেড গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের সরকার। তার জন্য ২ হাজার ৬৪৬টি গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভার বৃক্ষ বিভাগ।
পুলিশের উপস্থিতিতেই আন্দোলন। ছবি: পিটিআই।
আরও পড়ুন: গাছ কাটা নিয়ে ক্ষোভ, মুম্বইয়ে ধৃত ২৯
আরও পড়ুন: ফারুক-ওমরের সঙ্গে আজ দেখা করবে ন্যাশনাল কনফারেন্স-এর একটি প্রতিনিধি দল
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পরিবেশকর্মী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে বম্বে হাইকোর্টে চারটি আবেদনও জমা পড়ে। তাতে গাছ কাটা বন্ধের আর্জি জানানোর পাশাপাশি, অ্যারে কলোনির ওই এলাকাকে ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল’ ঘোষণার দাবি জানায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘বনশক্তি’।
কিন্তু শুক্রবার তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয় বম্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রদীপ নন্দরাজোগ এবং বিচারপতি ভারতী দাঙরের ডিভিশন বেঞ্চ। তার পর ওই রাতেই বৃক্ষ নিধন শুরু হয়। সেই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে টানাপড়েন চলছে। আন্দোলনে নেমে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন ২৯ জন। বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তাঁদের। এর পাশাপাশি আটকও করা হয়েছে অনেককে। তাই শেষমেশ প্রধানবিচারপতির উপরই ভরসা রাখছেন আন্দোলনকারীরা।