১০৭তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার, বেঙ্গালুরুতে। ছবি- টুইটার থেকে সংগৃহীত।
শুধুই সহজে ব্যবসা করা নয়, ভারতে যাতে সহজে বিজ্ঞানের গবেষণা করা যায়, সেই লক্ষ্যেও সরকারি পদক্ষেপ শুরু হয়েছে। তার জন্য কাজে লাগানো হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তিকে। যাতে লাল ফিতের ফাঁসে আটকে না যায় বিজ্ঞানের গবেষণা।
বেঙ্গালুরুতে ১০৭তম ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের উদ্বোধন করে শুক্রবার এ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তরুণ বিজ্ঞানীদের কাছে দেশ কী চাইছে বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘আরও উদ্ভাবন করুন। আরও আরও পেটেন্ট আনুন। নতুন নতুন জিনিস উৎপাদন করুন। বিজ্ঞানকে আরও সমৃদ্ধ করে তুলুন।’’ মোদীর বক্তব্য, এই চারটি পদক্ষেপই ভারতের উন্নয়নকে দ্রুততর করবে। দেশে বিজ্ঞানের গবেষণা করাটাও এ বার সহজ হবে।
প্রধানমন্ত্রী চান, মহাকাশ গবেষণার মতোই ভারতে দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাক সমুদ্র গবেষণাও। তাঁর কথায়, ‘‘সমুদ্রের জল, সামুদ্রিক সম্পদ, সামুদ্রিক খাদ্য ও সামুদ্রিক শক্তির নতুন নতুন ক্ষেত্রের সন্ধান করা হোক। সামুদ্রিক সম্পদ, সামুদ্রিক খাদ্য ও সামুদ্রিক শক্তি কোথায় কী পরিমাণে রয়েছে, তার মানচিত্র বানানো হোক।
ভারতের ১০৭তম বিজ্ঞান কংগ্রেসে এসেছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক নোবেল পুরস্কারজয়ী স্তেফান হেল ও ইজরায়েলের ওয়াইজম্যান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের স্ট্রাকচারাল বায়োলজি বিশেষজ্ঞ আডা ই ইয়োনাথ।
তবে উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারত যে আন্তর্জাতিক স্তরে এগিয়ে গিয়েছে, তা কবুল করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘আমি এটা জেনে খুব খুশি হয়েছি যে, বিশ্বে উদ্ভাবনের সূচকে ভারত ৫২ নম্বর স্থানে উঠে এসেছে। গত পাঁচ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তিকে অনেক বেশি কাজে লাগানো হয়েছে। জীবনে, ব্যবসাতেও। আরও সহজে যাতে দেশে বসেই বিজ্ঞানের গবেষণা করা যায়, সেই লক্ষ্যেও এ বার কাজে লাগানো হবে তথ্যপ্রযুক্তিকে।’’
ধান উৎপাদনের পর বাতিল হওয়া অংশ পোড়ানোর যে প্রথা দীর্ঘ দিন ধরে চালু এ দেশে, পরিবেশ দূষণ রোধে কৃষকদের সেই অভ্যাস থেকে বের করে আনার জন্য বিজ্ঞানীদের কাছে পদ্ধতি উদ্ভাবনের আহ্বান জানিয়েচেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।