National News

দিনকরণকে জোর ধাক্কা, ১৮ বিধায়ক বরখাস্ত

দিনকরণ অনুগামী ১৮ বিধায়ককে বরখাস্ত করলেন তামিলনাড়ুর স্পিকার। এর ফলে বিধানসভার আসনসংখ্যা কমে গেল। কমে গেল ম্যাজিক ফিগারও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৫:১২
Share:

স্পিকারের সিদ্ধান্ত জোর ধাক্কা দিনকরণ শিবিরের জন্য। ছবি: পিটিআই।

দিনকরণ শিবিরের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করলেন তামিলনাড়ু বিধানসভার স্পিকার পি ধনপাল। ১৮ জনকে বিধায়ক পদ থেকে বরখাস্ত করলেন তিনি। শশিকলা তথা দিনকরণের সঙ্গে থাকা এই বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ই পলানীস্বামীর অপসারণ দাবি করছিলেন। সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের কথাও রাজ্যপালকে জানিয়ে এসেছিলেন এই বিধায়করা। তাই এআইএডিএমকে নেতৃত্ব এই বিধায়কদের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে দলবিরোধী দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ জানায়। স্পিকার ওই বিধায়কদের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন। গত শুক্রবার বক্তব্য জানানোর শেষ তারিখ ছিল। আজ সোমবার স্পিকার জানিয়ে দিলেন, ১৮ জনের বিধায়ক পদই খারিজ হচ্ছে।

Advertisement

স্পিকারের সিদ্ধান্ত অবশ্যই স্বস্তি দিচ্ছে ওপিএস-ইপিএস-কে। কিন্তু মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায় কী হতে চলেছে, তা নিয়ে জল্পনা জোরদার। ছবি: পিটিআই।

মুখ্যমন্ত্রী ই পলানীস্বামীর সরকার এখন বিধানসভায় গরিষ্ঠতা হারিয়েছে বলে দিনকরণ শিবির দাবি করছে। বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিক সরকার, এমন দাবিও তুলছেন তাঁরা। একই সুরে আস্থা ভোটের দাবি তুলেছে বিরোধী দল ডিএমকে-ও। রাজ্যপাল সি বিদ্যাসাগর রাও সরকারকে আস্থা প্রমাণের নির্দেশ না দেওয়ায় দিনকরণ শিবির মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। সরকারকে আস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হবে কি না, সে নিয়ে হাইকোর্টের রায় আসা এখনও বাকি। তার মধ্যেই স্পিকার বরখাস্ত করে দিলেন ১৮ বিধায়ককে। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে তামিলনাড়ু বিধানসভার আসনসংখ্যা কমে গেল, কমে গেল সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় অঙ্কও। ফলে এখন আস্থা ভোট হলেও পলানীস্বামীর সরকার পড়বে না।

Advertisement

আরও পড়ুন: গণহত্যা মামলায় মায়ার হয়ে সাক্ষ্য দিয়ে এলেন অমিত

আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মহাধুম দলের

পনীরসেলভম (ওপিএস) এবং পলানীস্বামী (ইপিএস) হাত মেলানোর পরই শশিকলার ভাইপো দিনকরণ তামিলনাড়ুর সরকার ফেলে দিতে সক্রিয় হয়েছিলেন। প্রথমে ১৯ জন বিধায়ক দিনকরণের সঙ্গে ছিলেন। তাঁদের বিভিন্ন রিসর্টে রেখেছিলেন দিনকরণ। কিন্তু ওপিএস-ইপিএস হাত মিলিয়ে দিনকরণ শিবিরে ভাঙন ধরানোর চেষ্টা শুরু করেন। এক বিধায়ক শিবির বদলে ওপিএস-ইপিএস-এর দিকে চলেও যান। এর পরে আর ঝুঁকি না নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় দিনকরণ শিবির। আস্থা ভোটের নির্দেশ দেওয়ার আর্জি জানানো হয়। এর মধ্যেই দলবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল। হাইকোর্ট তাই গত সপ্তাহে রাজ্য সরকারের শীর্ষ আইনজীবীর কাছে জানতে চেয়েছিল, আদালতের রায় ঘোষিত হওয়ার আগেই স্পিকার ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন কি না। স্পিকার যে পদক্ষেপ করবেন না, এমন নিশ্চয়তা দেওয়া সম্ভব নয় বলে সরকারের আইনজীবী আদালতকে জানিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আদালতের রায় ঘোষণার আগেই পদক্ষেপ করলেন স্পিকার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement