মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি নেতা কনরাড সাংমা। ফাইল চিত্র।
আগামী বছরের মেঘালয় বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পাঁচটির বেশি আসন পাবে না বলে দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা এনপিপি নেতা কনরাড সাংমা। তৃণমূল নেতা মুকুল সাংমা এক সমীক্ষার কথা উল্লেখ করে এর আগে জানিয়েছিলেন, গারো পার্বত্য এলাকার ২৪ আসনে কনরাডের দল ৫টিতে জিততে পারে। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "মুকুল হয়তো নিজের দলের আসন সংখ্যার কথা বলতে চাইছিলেন৷ শুধু গারো পার্বত্য এলাকায় নয়, রাজ্যের ষাট আসনের হিসেবেই তাদের পক্ষে পাঁচটি জেতা কঠিন হবে।"
পাশাপাশি এনপিপি নেতা শুনিয়ে রাখেন, তিনি কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকেই খাটো করে দেখার পক্ষপাতী নন। দলের নেতাদেরও বলেন, ভোটে জেতা সহজ নয়। সে জন্য কাজ করতে হবে। তিনি সবাইকে সব সময় সে জন্যই জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকতে পরামর্শ দেন, জানান কনরাড।
এ দিকে, বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ আবু তাহের মণ্ডলকে এনপিপিতে স্বাগত জানিয়েই মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে ফুলবাড়ি আসনে প্রার্থী করার কথা জানিয়ে দেন। ওই আসনে বর্তমান বিধায়ক এসজি এস্তামুর মুমিনিনকে এ বার টিকিট দেওয়া হচ্ছে না, তা স্পষ্ট করে দেন। কনরাডের আশা, মণ্ডলের যোগদান শুধু ফুলবাড়িতে নয়, পাশাপাশি আসনগুলিতেও প্রভাব ফেলবে। রাজ্য জুড়েই তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। বিশেষ করে, গারো পাহাড়ের সমতল এলাকায় তিনি প্রভাবশালী নেতা বলেও মন্তব্য করেন কনরাড।
মুমিনিনকে টিকিট না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কনরাড জানান, এনপিপি নিজেদের সমীক্ষার ভিত্তিতে সম্ভাব্য বিজয়ীদের তালিকা তৈরি করে। এর উপর নির্ভর করেই কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়, কাউকে টিকিট দেওয়া হয় না। সমীক্ষাতেই প্রকাশ, মণ্ডলকে এনে ফুলবাড়িতে দাঁড় করানো গেলে অন্যান্য আসনেও দলের লাভ হবে।
কিন্তু দলীয় বিধায়কদের বঞ্চিত করে অন্য দল থেকে নেতা এনে মনোনয়ন দিতে থাকলে কি বিদ্রোহ দেখা দেবে না? কনরাডের জবাব, ‘‘এ ভাবে টিকিট দেওয়াই দলের নীতিতে পরিণত হয়েছে, এমন নয়। মণ্ডলের ক্ষেত্রে এমনটা করা হয়েছে দলেরই প্রয়োজনে। কিন্তু যাঁরাই অন্য দল থেকে এনপিপিতে এসেছেন বা আসবেন তাঁদের সবাইকে প্রার্থী করা হবে, তা ভাবার কোনও কারণ নেই।’’