মণীশ সিসৌদিয়া। —ফাইল চিত্র
মণীশ সিসৌদিয়ার গ্রেফতারিতে আম আদমি পার্টির (আপ) পাশেই দাঁড়াল তৃণমূল। বিজেপির চাপের মুখেও হার না মানায় মণীশকে কুর্নিশও জানালেন দলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। টুইটারে তিনি লিখলেন, আপ নেতা বিজেপির ওয়াশিং মেশিনে ঢুকলে তাঁকে গ্রেফতার হতে হত না। নাম না করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও নিশানা করেন ডেরেক।
রবিবার দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মণীশ। এই গ্রেফতারির পরেই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিঁধতে শুরু করেছে আপ। দলের তরফে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘‘এই গ্রেফতারি প্রধানমন্ত্রীর একনায়কতন্ত্রের চরম নিদর্শন।’’ তৃণমূলও এই ঘটনায় কেন্দ্রী বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে ‘প্রতিহিংসা রাজনীতি’ করার অভিযোগ তুলেছে। ডেরেক টুইটারে লেখেন, ‘‘শিবসেনা, অকালি দল, জেডিইউ, টিডিপি সকলেই বিজেপির সঙ্গত্যাগ করেছে। এখন বিজেপির একমাত্র সঙ্গী সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতর।’’ নাম না করে মোদী-শাহ জুটিকে ‘বেপরোয়া জুটি’ বলেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ। লেখেন, ‘‘বিরোধী দলের নেতাদের নিশানা করা বেপরোয়া জুটির প্রিয় কাজ।’’
দিল্লি সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী সিসৌদিয়া শিক্ষা মন্ত্রক সামলান। সেই সঙ্গে অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে রয়েছে। তাঁর গ্রেফতারির পরেই আপের তরফে টুইটারে লেখা হয়েছে, ‘‘গণতন্ত্রের জন্য কালো দিন। একটি ভুয়ো মামলায় বিশ্বের সেরা শিক্ষামন্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে বিজেপির সিবিআই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণেই এই গ্রেফতারি করা হয়েছে।’’ আপ নেতা সঞ্জয় সিংহও টুইটারে লিখেছেন, ‘‘মণীশ সিসৌদিয়ার গ্রেফতারি একনায়কতন্ত্রের চরম নিদর্শন। এক জন ভাল মানুষকে গ্রেফতার করে ভাল করেননি। সেরা শিক্ষামন্ত্রী তিনি। ভগবানও আপনাকে ক্ষমা করবেন না। এক দিন আপনার এই একনায়কতন্ত্র খতম হবে।’’
পাল্টা আক্রমণ করেছে বিজেপিও। মণীশের গ্রেফতারি নিয়ে দলের নেতা মনজিন্দর সিংহ সিরসা সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘উনি শিক্ষাক্ষেত্রে কাজ করে থাকতে পারেন। তার মানে এই নয় যে, তিনি আবগারি দুর্নীতিতে যুক্ত নন!’’