তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
দিল্লিতে আগামিকাল তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই আজ দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতি নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল। আগামিকাল থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তার আগে তৃণমূলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিক ভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আজ দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে দাবি তুলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো রক্ষা করা নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে হবে। সংসদে দলের রণনীতি কী হবে, তা নিয়ে সাংসদদের বার্তা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল রাতেই তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্র সাকেত গোখলেকে গ্রেফতার করেছে গুজরাতের পুলিশ। আর আজই তৃণমূল নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদলীয় বৈঠকে অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করে বিরোধীদের কন্ঠরোধ করার চেষ্টা হচ্ছে। সংসদেও বিরোধীদের বলতে দেওয়া হয় না। শীতকালীন অধিবেশনে কোন বিষয়গুলি আলোচনা করা যেতে পারে, তা নিয়ে কথাবার্তা বলতে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়েছিল। প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা লোকসভায় বিজেপির উপ-দলনেতা রাজনাথ সিংহের সভাপতিত্বে সেই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যসভায় বিজেপির দলনেতা পীযূষ গয়াল, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী-সহ ৩০টির বেশি দলের প্রতিনিধিরা। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের বিষয় নিযে গোড়াতেই সরব হন। তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গে অস্থিরতা তৈরি করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গকে অর্থনৈতিক ভাবে শ্বাসরুদ্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল নেতার দাবি, একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্র বরাদ্দ অর্থ এখনও দেয়নি। কেন্দ্রের এই ধরনের মনোভাব আটকাতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো নিয়ে আলোচনা জরুরি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সংসদীয় বৈঠকের পরই মমতার উপস্থিতিতে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেবেন ত্রিপুরা কংগ্রেসের নেতা পীযূষ বিশ্বাস-সহ আরও কয়েকজন। তৃণমূল সূত্রের ইঙ্গিত, শীতকালীন অধিবেশনে কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয়ের কোনও পরিকল্পনা দলের নেই। তবে অন্য আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে মিলে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সরব হওয়ার কথা ভাবতে পারে তৃণমূল।