সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরে নীতীশ কুমার ও লালু প্রসাদ। নয়াদিল্লিতে রবিবার। পিটিআই
হরিয়ানায় ওমপ্রকাশ চৌটালার ডাকে অধিকাংশ বিরোধী দলের জনসভায় অনুপস্থিতই রইল তৃণমূল কংগ্রেস। নীতীশ কুমার থেকে শরদ পওয়ার, তেজস্বী যাদব থেকে সুখবীর সিংহ বাদলের মতো অ-বিজেপি নেতারা এক মঞ্চে এলেও সেখানে তৃণমূলের কেউ উপস্থিত হলেন না। তৃণমূল সূত্রের বক্তব্য, দলের বিধায়ক বিবেক গুপ্তর ওই জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রবিবার সকালে তিনি সময় মতো কলকাতা থেকে দিল্লির বিমান ধরতে না পারায় জনসভায় যোগ দিতে পারেননি। দিল্লির কাছে গুরুগ্রাম থেকে হেলিকপ্টারে করে বিরোধী নেতাদের ফতেহাবাদ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছিল।
হরিয়ানার জনসভায় অনুপস্থিতিতে তাঁরা বিরোধী শিবিরে একঘরে হয়ে পড়লেন কি? তৃণমূল নেতারা অবশ্য মানতে রাজি নন। তৃণমূল সূত্রের যুক্তি, অখিলেশ যাদব, কে চন্দ্রশেখর রাও, অরবিন্দ কেজরীওয়ালদের কেউই জনসভায় হাজির ছিলেন না। কংগ্রেস তো এই জনসভায় ডাকই পায়নি।
আইএনএলডি নেতা ওমপ্রকাশ চৌটালা তাঁর বাবা দেবীলালের জন্মবার্ষিকীতে সব বিরোধী দলের নেতানেত্রীদের সঙ্গে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু মহালয়ার দিনে নানা কর্মসূচি থাকায় মমতা প্রথমেই জানিয়ে দেন, যেতে পারবেন না। তার পরে দলের সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। শেষে বিবেককে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তৃণমূল নেতৃত্বের অবশ্য প্রথম থেকেই শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরিদের সঙ্গে এক মঞ্চে যাওয়া নিয়ে গড়িমসি ভাব ছিল। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শরদ পওয়ার প্রার্থী হতে রাজি না হওয়ায় মমতা তাঁর উপরে ক্ষুব্ধ। সিপিএমের সীতারাম ইয়েচুরিও দলের শক্তি না থাকায় বিরোধী জোটে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চান বলে তৃণমূলের ক্ষোভ রয়েছে।