সংসদে নিশানা মমতা, স্পিকারকে চিঠি সৌগতদের

গত কালের পরে আজও বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সাংসদেরা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লোকসভায় কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি ও কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৯
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।

সংসদের চলতি অধিবেশন গোড়া থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য রাজনীতির তরজায়। তৃণমূলের অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর নাম করে ‘মিথ্যা’ অভিযোগই শুধু আনা হচ্ছে না, মানহানিকর ভাষাও ব্যবহার হচ্ছে তাঁর বিরুদ্ধে।

Advertisement

গত কালের পরে আজও বিজেপির পশ্চিমবঙ্গের সাংসদেরা লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লোকসভায় কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়েন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে। রাজ্যে বিক্ষোভরত পার্শ্বশিক্ষিকার মৃত্যু, চিট ফান্ড, লটারির ব্যবসার মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের হইহল্লা থেকে শুরু হয় তৃণমূলের সঙ্গে বাদানুবাদ। পরে তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সাংসদ সৌগত রায়, মালা রায়-রা স্পিকারকে চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেন, সংসদের মর্যাদা নষ্ট করছেন বিজেপি সাংসদেরা। অধিবেশন কক্ষে তাঁদের যে সব বক্তব্য স্পিকারের অফিস থেকে মুছে দেওয়া হচ্ছে, সেগুলিই তাঁরা সংবাদমাধ্যমে বলছেন।

আজ যত বার মমতার নাম উচ্চারণ করেছেন লকেট বা সৌমিত্র খানেরা, সেগুলি সবই বাদ দেওয়া হয়েছে। সম-কাজে সম-বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের অন্যতম রেবতী রাউতের মৃত্যু ঘিরে আজ লকেট সরব হয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্যে কোনও আইনশৃঙ্খলা নেই। শিক্ষকদের মৃত্যু হচ্ছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী নিষ্ক্রিয়। জবাবে তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, ‘‘এই সাংসদেরা পুরোপুরি মিথ্যা বলছেন।’’ সোমবার আরও তেড়েফুঁড়ে বিজেপির মোকাবিলার নামতে চলেছে তৃণমূল।

Advertisement

সুদীপ আজ বলেন, ‘‘লোকসভাকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা বানানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগামী সোমবার থেকে এই আচরণের যাতে পুনরাবৃত্তি না-হয়, তার জন্য স্পিকারকে চিঠি দিয়েছি।’’ চিঠিতে লকেট, সৌমিত্র এবং অর্জুন সিংহের নাম আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। সুদীপের কথায়, ‘‘রাজ্যের পার্শ্বশিক্ষকদের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট সংবেদনশীল। ৫০০ জন পার্শ্বশিক্ষকের বেতন ৩০০০ টাকা বাড়ানোও হয়েছে। কিন্তু বিজেপি সাংসদেরা কোনও যুক্তিই দিতে পারছেন না। শুধু কাদা ছেটানোর জন্য দু’চারটি বিক্ষিপ্ত বাক্য বলছেন।’’ তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন বলেন, ‘‘অধিবেশনের রেকর্ড থেকে বাদ দেওয়া হলেও ভিডিয়োতে রেখে দেওয়া হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অবমাননাকর বাক্যগুলি।’’

বিকাশ ভবনের উল্টো দিকে বসা পার্শ্বশিক্ষকদের অনশন আজ ৮ দিনে পড়ল। তা ছাড়া বিক্ষোভ চলছে গত ১১ দিন ধরে। বিক্ষোভকারীদের সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ভগীরথ ঘোষ বলেন, ‘‘আন্দোলনরত দু’জন পার্শ্বশিক্ষক গুরুতর অসুস্থ। সন্দেশখালির তাপস বর ব্রেন স্ট্রোক হয়ে এনআরএস হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন। আবদুল ওয়াহাব মল্লিক নামে মুর্শিদাবাদের এক অনশনকারী বুকের সমস্যায় এনআরএসে ভর্তি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement