TMC

TMC-Congress: কংগ্রেসকে ‘নয়া’ বার্তা তৃণমূলের

সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে, রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আচরণ নিয়ে তৃণমূল স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনলে তাকে সমর্থন করবে কংগ্রেস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২২ ০৭:০৫
Share:

প্রতীকী ছবি।

গোয়া নির্বাচনের পরে অর্থাৎ বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে বিজেপি-বিরোধিতার প্রশ্নে কংগ্রেসের সঙ্গে সংসদীয় সমন্বয় করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক শীর্ষ সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে। তবে প্রথমার্ধে, অর্থাৎ সোমবার থেকে শুরু হওয়া অধিবেশনে কংগ্রেস তথা রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকগুলিতে তৃণমূলের যোগ দেওয়ার সম্ভবনা কম।

Advertisement

সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে, রাজ্যসভায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের আচরণ নিয়ে তৃণমূল স্বতন্ত্র প্রস্তাব আনলে তাকে সমর্থন করবে কংগ্রেস। কংগ্রেস সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে এক দফা আলোচনা হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। তবে বাজেট অধিবেশনের প্রথমার্ধে (৩১ জানুয়ারি থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি) এই প্রস্তাব আনার সম্ভাবনা কম। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রস্তাব আনা হবে দ্বিতীয়ার্ধে, অর্থাৎ মার্চ মাসে। বাজেটের দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হবে ১৪ মার্চ, চলবে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত।

গোয়ায় নির্বাচন ১৪ ফেব্রুয়ারি। সেখানে যুযুধান কংগ্রেস এবং তৃণমূল। গত কয়েক মাস ধরে এই নির্বাচন নিয়ে দু’দলের মধ্যে তিক্ততাও কম হয়নি। ফলে গোয়ায় লড়াইয়ের মধ্যেই সংসদে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের বন্ধুত্বের ছবি তৈরি হলে নেতা-কর্মীদের কাছে ভুল বার্তা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। দ্বিতীয়ার্ধে সে সমস্যা নেই। তখন ভোটের ফলও প্রকাশ হয়ে যাবে।

অন্য দিকে বাজেট অধিবেশন নিয়ে কৌশল তৈরির বৈঠকের পরে সমমনস্ক দলগুলির সঙ্গে মিলে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস। বৈঠকের পরে কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, “আমরা বিরোধী শিবিরে সমন্বয়ের জন্য প্রথা অনুযায়ী সব দলকেই ডাকব। এ বার বাকিদের ঠিক করতে হবে, কে বিরোধী শিবিরে থাকবে, কে বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিকে সুবিধা করে দেবে।”

Advertisement

রাজনৈতিক শিবির মনে করাচ্ছে, গত কয়েক সপ্তাহে তৃণমূল সুর বদলে গোয়ায় কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা করতে চেয়েছে। কংগ্রেস তা নাকচ করে দেওয়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, কংগ্রেসকে ভোট মানেই বিজেপিকে ভোট। আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী জোট করতে সনিয়া গান্ধীকে বার্তা পাঠিয়েছেন। সনিয়া সেই প্রস্তাবে উৎসাহ দেখাননি। গোয়া ভোটের প্রসঙ্গে রবিবারও কংগ্রেসের দায়িত্বপ্রাপ্ত পি চিদম্বরম বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে তিনি নির্দেশ পাননি। তাঁর কথায়, “আমি নিশ্চিত, আমাদের নেতৃত্ব এ ব্যাপারে সমস্ত তথ্য এবং পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে দেখেছেন।”

সংসদীয় অধিবেশন শুরু হওয়ার আগের দিন সাধারণত স্পিকার এবং সরকারের সঙ্গে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সব দলের সংসদীয় নেতাদের বৈঠক থাকে। কিন্তু রবিবার ব্যতিক্রমী ভাবেই কোনও বৈঠক রাখা হয়নি। সোমবার বৈঠকগুলি হবে। স্পিকার সরাসরি লোকসভার বিষয় উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক করবেন আগামিকাল। সোমবার রাষ্ট্রপতির বক্তৃতা। বুধবার তা নিয়ে সংসদের দু’কক্ষেই আলোচনা শুরু হবে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে প্রথম দিন থেকেই ঝাঁঝালো ভাবে বিজেপি-বিরোধিতার পথে হাঁটা হবে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নেতারা। লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো বদলে দিচ্ছে। দেশের ইতিহাস বদলে দিচ্ছে। চোখের সামনে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি বেচে দিচ্ছে। আমরা বিষয়গুলি নিয়ে সরব হব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement