তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও তাঁর পুলিশকে বিঁধে টুইট করেছেন এ দিনই। নিজস্ব চিত্র।
আগরতলার পরে এ বার, ত্রিপুরার তেলিয়ামুড়া। লাভপুর ও বর্ধমান দক্ষিণের দুই তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ ও খোকন দাস শনিবার অভিযোগ করেছেন, তাঁরা তেলিয়ামুড়ায় যে হোটেলে উঠেছেন, সেটির মালিক ও তাঁর স্ত্রীকে বিজেপি ‘হুমকি’ দিয়েছে যে, তৃণমূল নেতৃত্বকে ওই হোটেলে রাখা যাবে না। অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
আগামী ২৫ নভেম্বর ত্রিপুরায় ১৩টি পুরসভা এবং ছ’টি নগর পঞ্চায়েতের ভোট। তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিজিৎকে ত্রিপুরার খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়া পুরসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অভিজিতের সহযোগী করা হয়েছে খোকনকে। খোকন এ দিন জানান, শনিবার বিকেলে তাঁরা তেলিয়ামুড়া পুরসভার দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময়ে বিজেপির লোকজন ওই হোটেলে গিয়ে হুমকি দেয়। এর পরে, তাঁরা তেলিয়ামুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে থানার সামনে রাত পর্যন্ত অবস্থান করছেন অভিজিৎ ও খোকন। অভিযোগ অস্বীকার করে তেলিয়ামুড়ার বিজেপি বিধায়ক কল্যাণী রায় বলেন, “তৃণমূল ত্রিপুরায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করছে। যাঁদের সংগঠন নেই, তাঁরাই এ সব করেন।”
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুস্মিতা দেব মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও তাঁর পুলিশকে বিঁধে টুইট করেছেন এ দিনই। আসন্ন ২৫ নভেম্বরের পুর ভোটের জন্য তৃণমূলের প্রচারের প্রথম দিনে, গত ২২ অক্টোবর তাঁর ও দলের অন্য নেতাদের উপরে হামলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় দায়ের করা অভিযোগের সারবত্তা নেই বলে দাবি করে ত্রিপুরা পুলিশ টুইট করেছে। সেটির বক্তব্য, সুস্মিতার দেওয়া ভিডিয়ো ক্লিপ তদন্তে কাজে আসেনি। যে চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে জানানো হয়নি। এমনকি, ওই সময় তারা ঘটনাস্থলে ছিল না বলে
জানা গিয়েছে।
সুস্মিতা টুইটে লিখেছেন, ‘পরের বার হামলা হলে আরও বেশি সময় ধরে ভিডিয়ো করব। যখন তারা আমাকে মারধর করবে ও গাড়ি ভাঙচুর করবে, তখন তাদের ঠিকানা ও ফোন নম্বর জেনে নেব।’ জবাবি টুইটের শেষে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সুস্মিতা লিখেছেন, “বিপ্লব দেব দয়া করে পুলিশের টুইটের জন্য এর চেয়ে ভাল বয়ান লিখে দেবেন।”