Saayoni Ghosh

Saayoni Ghosh: হোটেলে রাজনীতির কথা নয়!

ক্ষুব্ধ হলেও পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী সায়নী অবশ্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে দুষছেন না।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০২১ ০৭:৫০
Share:

ফাইল চিত্র

বিপ্লব দেবের রাজ্যে সায়নী ঘোষদের উপর ফরমান জারি করল আগরতলার হোটেল কর্তৃপক্ষ। বক্তব্য, “রেস্তরাঁয় বসতে পারেন, চা-কফি খেতে পারেন, কিন্তু রাজনৈতিক আলোচনা করবেন না।” গত কাল এই হোটেলে দফায় দফায় বিদ্যুতের লাইন কেটে দেওয়া হচ্ছিল। কী হচ্ছে এ সব‒ প্রশ্ন করলেই হোটেলের এক জবাব, “বুঝতেই তো পারছেন।”

Advertisement

ক্ষুব্ধ হলেও পশ্চিমবঙ্গ যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী সায়নী অবশ্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে দুষছেন না। বিজেপির হুমকিতেই এ সব হচ্ছে বলে অভিযোগ করে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “সবই বুঝতে পারছি। অপেক্ষা করুন, আমরাও কড়ায়-গণ্ডায় বুঝিয়ে দেব।” সায়নী জানান, তাঁরা তিন জন ওই হোটেলে ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান আরও তিন জন। ছ’জনে মিলে একসঙ্গে বসে চা খাবেন, গল্প করবেন ভেবেই গিয়েছিলেন হোটেলের রেস্তরাঁয়। কথা শুরু হতে না-হতেই হোটেল কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক আলোচনা না করতে বললেন।

প্রাক্তন সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, “এ মৌলিক অধিকারের উপর আক্রমণ। তিরিশের দশকের জার্মানি, ইটালির ফ্যাসিবাদেরই প্রতিধ্বনি। গণতান্ত্রিক দেশে এ সব ভাবা যায় না। তবে এটা বেশি দিন টিকবে না।” ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের সতর্ক করে দিতে ঋতব্রত তাঁদের ‘রাইজ অ্যান্ড ফল অব দ্য থার্ড রাইখ’ বইটি পড়ে নেওয়ার পরামর্শ দেন।

Advertisement

হোটেল নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়েছে ঋতব্রতকেও। আজ ফের ত্রিপুরায় এসেছেন। থাকবেন কিছু দিন। বললেন, “হোটেল আমাদের রাখতে চায় না। গত বার যে হোটেলে ছিলাম, সেখানে বলা হয়েছে, আমাদের রাখা যাবে না। বাধ্য হয়ে অন্য হোটেলে উঠেছি।” তিনি ত্রিপুরার বিজেপি নেতাদের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের কথা মনে করিয়ে দেন। বলেন, তখন বিজেপি নেতারা নিত্য বাংলায় গিয়েছেন, থেকেছেন। তাঁর কথায়, বিজেপির দাঁত-নখ যত ধারালো হবে, মানুষের প্রতিবাদ তত তীব্র হবে। পাশে দাঁড়িয়ে সায়নীর ঘোষণা, “শীঘ্রই ত্রিপুরায় তৃণমূলের অফিস হবে, এর পর সরকারও হবে।” দলীয় সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহে ফের ত্রিপুরা আসতে পারেন অভিষেক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement