ইতিমধ্যেই গোয়া এবং ত্রিপুরায় পা রেখেছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে জয় না পেলেও দুই রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির বিষয়ে জোর দিয়েছে বাংলার শাসক দল। এ বার সেই লক্ষ্যেই অসমে গেলেন অভিষেক। রাজ্যে মোট ১৪টি লোকসভা আসন রয়েছে। এর মধ্যে দশটিতে জিততে হবে বলে অসমের তৃণমূল নেতৃত্বকে লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি।
বুধবার অসমে অভিষেক। নিজস্ব চিত্র
পশ্চিমবঙ্গে আটকে না থেকে আগামী দিনে দেশের কমপক্ষে দশ রাজ্যে ক্ষমতায় থাকতে চায় তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এটাই তাঁর লক্ষ্য। বুধবার অসমে গিয়ে এমন মন্তব্যই করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গুয়াহাটিতে দলীয় কার্যালয় উদ্বোধনের পর সাংবাদিক বৈঠক তিনি বলেন, ‘‘দল আমাকে সাধারণ সম্পাদক করেছে। তৃণমূলকে শক্তিশালী করাই আমার কাজ। আমার একটাই লক্ষ্য দশটি রাজ্যে তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনা।’’ একই সঙ্গে বাংলায় তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করাও তাঁর লক্ষ্য বলে জানান অভিষেক।
তৃণমূলের উত্তরাধিকার বিতর্কেও বুধবার মুখ খুলেছেন অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরে তিনিই মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে সম্প্রতি তৃণমূলে আলোচনা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা এমন বলছেন, এটা তাঁদের ব্যক্তিগত মত, তাঁদের সম্মান করি। তৃণমূলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বোচ্চ নেত্রী, দল আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। বাংলায় তৃণমূলকে আরও শক্তিশালী করাই আমার কাজ।’’
ইতিমধ্যেই গোয়া এবং ত্রিপুরায় পা রেখেছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনে জয় না পেলেও দুই রাজ্যে সংগঠন বৃদ্ধির বিষয়ে জোর দিয়েছে বাংলার শাসক দল। এ বার সেই লক্ষ্যেই অসমে গেলেন অভিষেক। রাজ্যে মোট ১৪টি লোকসভা আসন রয়েছে। এর মধ্যে দশটিতে জিততে হবে বলে অসমের তৃণমূল নেতৃত্বকে লক্ষ্যমাত্রাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। অসমের বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘‘৪০০ টাকার রান্নার গ্যাস হাজার টাকা হয়ে গিয়েছে। পেট্রল-ডিজেলের দাম সেঞ্চুরি পেরিয়ে গিয়েছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার অসমে কী করছে? সিএএ, এনআরসি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখে কুলুপ কেন? যত ক্ষণ অসমে তৃণমূল কংগ্রেস না জিতবে তত ক্ষণ লড়াই চালিয়ে যাবে।’’ একই সঙ্গে বলেন, ‘‘অসমকে দিল্লি নিয়ন্ত্রণ করবে না, অসমের মানুষ অসম শাসন করবে।’’
বিজেপির পাশাপাশি বুধবার কংগ্রেসকেও নিশানা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘ফেসবুক, টুইটারে লড়াই নয়, মাঠে নেমে লড়ে তৃণমূল। গত আট বছর ধরে কংগ্রেস বিজেপির কাছে হেরেছে। আর গত আট বছর ধরে বিজেপি তৃণমূলের কাছে হেরে চলেছে।’’ আবার বিজেপিকে রুখতে জোট গড়ার বার্তাও দেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘‘আমরা যেখানেই যাই সেখানেই বলি, যে সমস্ত দল যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে চায়, তারা এক জোট হোক। এক জোট হলে তো শক্তি বাড়বে। আমি স্বাগত জানাচ্ছি, একসঙ্গে লড়ব। এই বছরের শেষের মধ্যেই অসমের প্রত্যেক বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি থাকবে। আমি মানুষের দরবারে যাব। মানুষ ঠিক করবে কারা ক্ষমতায় থাকবে।’’