৪০ আসনের গোয়ায় ২৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। বাকি আসনে ছিল জোটসঙ্গী গোমন্তক পার্টির প্রার্থী। দু’টি আসনে জয় পায় গোমন্তক পার্টি। ফল ঘোষণার পরে ভেঙে গিয়েছে জোট। তবে গোয়ায় পা রাখা তৃণমূল পরের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে যে মাটি শক্ত করার কাজ করবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। গোয়াবাসীর মন জয় করতে কী কী করা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি।
কমিটি গড়লেন অভিষেক ফাইল চিত্র।
গোয়ায় মহারাষ্ট্র গোমন্তক পার্টির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়াই করলেও কোনও আসন পায়নি তৃণমূল। প্রথমবার লড়াই করে যতটা সাফল্য এসেছে তাতে দল আশাবাদী বলে আগেই জানিয়েছিল তৃণমূল। তবে কেন এমন ফল হল, আর কী করা প্রয়োজন ছিল তা বিশ্লেষণ করতে চায় বাংলার শাসক দল। রবিবার ফল বিশ্লেষণ করতে একটি কমিটিও গড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কমিটির মাথায় রয়েছেন হরিয়ানার তৃণমূল নেতা অশোক তানওয়ার। এ ছাড়াও রয়েছেন রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব এবং গোয়ায় দলের সহ-পর্যবেক্ষক সৌরভ চক্রবর্তী। ওই কমিটিতে নাম নেই গোয়া তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা সাংসদ মহুয়া মৈত্রর। রবিবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে এক চিঠি লিখে নতুন উদ্যমে গোয়ায় সংগঠন শক্তিশালী করার বার্তা দিয়ে অভিষেক জানিয়েছেন আগামী ২৬ মার্চ একটি সম্মেলন হবে। তাতে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থীরা ছাড়াও তাঁদের কোর টিমের সদস্যরা অংশ নেবেন।
৪০ আসনের গোয়ায় ২৬টি আসনে প্রার্থী দিয়েছিল তৃণমূল। বাকি আসনে ছিল জোটসঙ্গী গোমন্তক পার্টির প্রার্থী। দু’টি আসনে জয় পায় গোমন্তক পার্টি। ফল ঘোষণার পরে ভেঙে গিয়েছে জোট। তবে গোয়ায় পা রাখা তৃণমূল পরের বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে যে মাটি শক্ত করার কাজ করবে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন অভিষেক। গোয়াবাসীর মন জয় করতে কী কী করা যায় তা নিয়ে পর্যালোচনা করার আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর তৈরি করা কমিটি সংগঠন হিসেবে এবং একক ভাবে কেমন কাজ হয়েছে তার পর্যালোচনা করবে বলেও জানিয়েছেন অভিষেক।
রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য ছিল গোয়ার বিধানসভা ভোটের লড়াই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অভিষেকের ‘অভিষেক টেস্ট’। বাইরের মাঠে খেলতে নেমে তিনি কতটা সাফল্য পান সে দিকে চোখ ছিল রাজনৈতিক মহলের। পশ্চিমের ওই রাজ্যে তৃণমূল খাতা খুলতে না পারলেও ফলাফল নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘যে আশা নিয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম সে আশা হয়তো পূরণ হয়নি। কিন্তু চারটি আসনে আমরা খুব কম ব্যবধানে হেরেছি। ১০০০-১২০০ ভোটের ব্যবধানে। নাভেলিম আসনে আমরা মাত্র ২৫০ ভোটে হেরেছি। বেলিম আসনেও আমরা কম ব্যবধানে হেরেছি। তবে এমন কিছু আসন রয়েছে যেখানে আমরা ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বিজেপি কিন্তু তিন-চার মাসের মধ্যে কোনও রাজ্যে গিয়ে পাঁচ-ছয় শতাংশ ভোট পায়নি। এমনকি একটি বিধানসভা থেকে ৩০ শতাংশ ভোটও পায়নি। তাই আমাদের কাছে একটা বড় বিষয়। দলের যে স্তরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা দরকার সেই বিষয়ে আলোচনা হবে।’’ ফল ঘোষণার পরেই যে কথা তিনি বলেছিলেন সেটাই করলেন রবিবার। গড়লেন ফল পর্যালোচনার কমিটি।