ফাইল চিত্র।
রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেনের সাসপেনশনের প্রতিবাদে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় আনতে চাইছে তৃণমূল। শুক্রবার সংসদের বাদল অধিবেশন থেকে তৃণমূল সাংসদ শান্তনুকে সাসপেন্ড করেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু। তার পরেই প্রতিবাদে সরব হয় তৃণমূল সংসদীয় দল। নিজেদের সেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলিকেও শামিল করতে চায় তারা। তৃণমূল সূত্রের খবর, শান্তনুকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে প্রতিবাদপত্র দিতে চলেছে তৃণমূল। সেই প্রতিবাদপত্রে তৃণমূল ছাড়াও অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির রাজ্যসভার সাংসদদের স্বাক্ষর নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করছে তারা।
তৃণমূলের সংসদীয় দলের নেতারা মনে করছেন, শান্তনু যে পেগাসাস-কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন, তাতে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোরও স্বার্থ জড়িত রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, পেগাসাস-কাণ্ডে যেমন নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্রের চিত্র’ প্রকাশ পেয়েছে, তেমনই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহ জুটিকে চাপে ফেলার মোক্ষম সুযোগ পাওয়া গিয়েছে। এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না তৃণমূল। সূত্রের খবর, সমভাবাপন্ন বেশকিছু দলের সঙ্গে প্রতিবাদপত্র দেওয়া নিয়ে আলোচনাও হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের সংসদীয় দলের প্রতিনিধিদের। বিরোধী নেতারা তৃণমূল নেতৃত্বকে জানিয়েছেন, তাঁদের দলের শীর্ষনেতৃত্বের অনুমোদন পেয়ে গেলেই তাঁরা প্রতিবাদপত্রে সই করে দেবেন।
শনিবার এক তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘‘২০২০ সালের সেপ্টেম্বরেও আটজন রাজ্যসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান। সেবার সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে প্রতিবাদে সরব হাওয়ায় বেজায় চাপে পড়েছিল সরকার। এবার শান্তনু একা সাসপেন্ড হয়েছেন ঠিকই। কিন্তু পেগাসাস বিতর্কে যেভাবে কেন্দ্র বিপাকে পড়েছে, তাতে এটাই সরকারকে চাপে ফেলার উপযুক্ত সময়। তাই আগামী সপ্তাহে সংসদে আমরা শান্তনুর সাসপেনশনের প্রতিবাদে একজোট হয়ে সরব হতে চাই। সে কারণেই প্রতিবাদপত্রে সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের স্বাক্ষর নিতে চাইছি।"
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণোর হাত থেকে বিবৃতি লেখা কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে তা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল শান্তনুর বিরুদ্ধে। সেই ঘটনায় তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। তবে শান্তনুও পাল্টা বলেন, মন্ত্রীই তাঁর সঙ্গে ‘অভব্যতা’ করেছেন।