গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে ‘খেলা হবে’ শব্দবন্ধ। ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন রাজ্য জুড়ে ১৬ অগস্ট পালিত হবে ‘খেলা হবে’ দিবস। তা উদ্যাপনের জন্য ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন ক্লাবের মধ্যে ফুটবল বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু ১৬ অগস্টের ‘খেলা হবে’ দিবস শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, পালিত হবে বিজেপিশাসিত উত্তরপ্রদেশেও। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন এ কথা।
উত্তরপ্রদেশের তৃণমূল নেতা নীরজ রাই বলেছেন, ‘‘আগামী ১৬ অগস্ট উত্তরপ্রদেশে খেলা হবে দিবস পালনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। খেলা দিবস উপলক্ষ্যে লখনউয়ে একটি ফুটবল ম্যাচেরও আয়োজন করা হয়েছে।’’ তবে তৃণমূলের এই কর্মসূচিতে যোগী আদিত্যনাথের সরকার আদৌ অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত নন নীরজ। তিনি বলেছেন, ‘‘কোভিড বিধি মেনেই আমাদের কর্মসূচি পালন করব। যোগী সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবে তা নিয়ে কিছুই জানানো হয়নি।’’ তৃণমূল কোনও কর্মসূচি নিলে উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার ভয় পাচ্ছে বলে দাবি করেছেন তিনি। এ নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র তথা বিধানসভার উপ মুখ্যসচেতক তাপস রায় বলেছেন, ‘‘শুধু উত্তরপ্রদেশ কেন, সারা ভারত জুড়েই বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছে। খেলা হবে দিবস পালনের মাধ্যমে সেই প্রতিধ্বনি আরও দৃঢ় হবে।’’
খেলা দিবসকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বদ্ধপরিকর মমতার নেতৃত্বাধীন রাজ্যের শাসকদল। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় খেলা দিবস পালনের ঘোষণা করা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। জানা গিয়েছে, মোদীর রাজ্য গুজরাতেও খেলা দিবস পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। খেলা দিবসে সে রাজ্যে দেওয়ার জন্য মমতার ছবি সম্বলিত একটি ট্রফিও সামনে এসেছে।
বাংলার নির্বাচন শেষ হতেই উত্তরপ্রদেশে ‘খেলা হবে’র ঢঙে দেওয়াল লিখন নজর কেড়েছিল গোটা দেশের। তৃণমূলের স্লোগান ধার করে উত্তরপ্রদেশের অন্যতম বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি দেওয়াল লিখেছিল ‘আব ইউপি মে খেলা হই’। অর্থাৎ এ বার ইউপি-তে খেলা হবে। ২০২২-এ উত্তরপ্রদেশে হবে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সে রাজ্যে নিজেদের জমি শক্ত করতে চাইছে তৃণমূল।