মহুয়া মৈত্র। ফাইল চিত্র।
গোয়ার বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের লড়াই পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। কিছু দিন আগেই, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচনে তুলনামূলক কঠিন লড়াই সসম্মানে উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। গোয়ার মতো রাজ্যে ইংরেজিতে সুবক্তা, দীর্ঘদিন বিদেশে থাকা, ‘স্মার্ট’ মহুয়াকেই প্রচার এবং অন্যান্য নির্বাচনী পরিকল্পনার মাথায় রাখা হল।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরই পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ত্রিপুরা এবং গোয়ার দিকে নজর দিয়েছে তৃণমূল। দু’টি রাজ্যই বিজেপি শাসিত। ৪০ বিধানসভা আসনের গোয়াতে ফেব্রুয়ারি-মার্চের মধ্যে ভোট। সেই ভোটের দায়িত্ব পাওয়ার পর মহুয়া আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “এই রাজ্যে আমাদের ভাল ফল করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এটা একটা বিশাল চ্যালেঞ্জ। আমি সেই চ্যালেঞ্জ নিচ্ছি।” তাঁর কথায়, “আমি যে কায়দায় ভোট করি, দলকে জানিয়েছি বুথে বুথে গিয়ে সেই কায়দাতেই ভোট পরিচালনা করব। দু’এক দিনের মধ্যেই গোয়ায় যাব। সেখানেই থাকব।”
অক্টোবরের শেষে গোয়ায় গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকটি সভাও করেন। ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা তার আগে থেকেই গোয়ায় যাচ্ছেন নিয়মিত। গিয়েছেন মহুয়াও। দিন কয়েক আগে গোয়াতেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন টেনিস তারকা লিয়েন্ডার পেজ। যোগ দিয়েছেন নাফিসা আলিও। মহুয়া বলেন, “ছোট রাজ্য গোয়া। পশ্চিমবঙ্গের মতোই সেখানে বহুত্ববাদী সংস্কৃতি রয়েছে। সহিষ্ণু এবং মুক্ত চিন্তার মানুষ রয়েছেন। তাঁদের উন্নয়নের স্বার্থেই আমাদের লড়াই।”
অক্টোবরের শেষে রাজ্যে চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে শান্তিপুরের দায়িত্বে ছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া। এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে সেখানে প্রায় ১৬ হাজার ভোটে জিতেছিল বিজেপি। মাস ছয়েকের মধ্যেই মহুয়ার নেতৃত্বে সেখানে ৬৪,৬৭৫ ভোটে জিতলেন তৃণমূল প্রার্থী। গোয়ায় তাঁকে দায়িত্ব দেওয়ার পিছনে শান্তিপুরের ‘মার্কশিট’ অবশ্যই বড় ভূমিকা পালন করেছে।