সংসদে লকেট চট্টোপাধ্যায় ও সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বুধবারও কাটমানির আঁচে উত্তপ্ত সংসদ। মঙ্গলবার লোকসভায় কাটমানি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বুধবার স্পিকারকে ওই অংশ বাদ দেওয়ার আর্জি জানান লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর যুক্তি, যিনি সংসদে নেই, তাঁর বিরুদ্ধে এ ভাবে অভিযোগ তোলা যায় না। তাই ওই অংশ বাদ দেওয়া হোক। সংসদের বাইরে ডেরেক ওব্রায়েনও এ নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন। স্পিকার ওম বিড়লার মন্তব্য, ‘এটা পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নয়’।
মঙ্গলবার কাটমানি নিয়ে লোকসভায় সরব হন হুগলি কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ ছিল, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজেই স্বীকার করে নিয়েছেন, কাটমানি নিয়েছেন তাঁদের দলের নেতারা। নেতাদের কাছে ২৫ শতাংশ এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ৭৫ শতাংশ কাট মানি রয়েছে বলেও তিনি অভিযোগ তোলেন। যদিও এক বারও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করেননি।
কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নাম জড়ানোয় ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদরা। এ দিন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় লকেটের বক্তব্যের ওই অংশ সংসদের কার্যবিবরণী থেকে বাদ দিতে আর্জি জানান স্পিকারকে। তাঁর অভিযোগ, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংসদে উপস্থিত নেই। তাঁর বিরুদ্ধে এই রকম অভিযোগ তোলা সংসদীয় রীতি বিরোধী। কিন্তু বিজেপিও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। সুদীপের বক্তব্যের প্রতিবাদে হইচই জুড়ে দেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা। শুরু হয় বাদানুবাদ, হই হট্টগোল। কিন্তু রাজ্যের ইস্যু নিয়ে সংসদে হই-হট্টগোল যে অশোভন তা বোঝাতে অধ্যক্ষ ওম বিড়লা বলেন, ‘‘এটা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নয়।’’
আরও পডু়ন: কাটমানি, সন্ত্রাসে তোলপাড় লোকসভা, আক্রমণে রাজ্যের বিজেপি সাংসদেরা
আরও পড়ুন: রাজ্যের নাম পাল্টে ‘বাংলা’এখনই নয়, সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ হয়নি, জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক
পরে তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা সংসদের বাইরে বলেন, সংসদীয় রীতিনীতি অমান্য করা হলে তাঁরা সেটা কিছুতেই মেনে নেবেন না।