ছবি: টুইটার
তেতে উঠছে ত্রিপুরা। শুক্রবার একে একে সে রাজ্যে হাজির হয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রীরা। কোমর বেঁধে নেমেছে বিজেপি-ও। ত্রিপুরা জুড়ে শুক্রবারই একাধিক কর্মসূচি রয়েছে গেরুয়া শিবিরের। রয়েছে মিছিল করার কথা। তার মধ্যেই খবর মিলেছে, দুপুরে তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন কংগ্রেস নেতা।
পূর্ব ঘোষণা মতোই শুক্রবার সকাল থেকে একে একে ত্রিপুরা পৌঁছেছেন তৃণমূলের সাংসদ, মন্ত্রীরা। বর্তমানে আগরতলাতেই রয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। শুক্রবার সকালে আগরতলা পৌঁছেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। সারাদিন ধরে একে একে আট জন সাংসদের সে রাজ্যে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। সেই তালিকায় থাকতে পারেন প্রতিমা মণ্ডল, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, কাকলি ঘোষ দস্তিদার-রা। তৃণমূল সূত্রে খবর, ত্রিপুরার এক ‘উল্লেখযোগ্য’ কংগ্রেস নেতাও শুক্রবার যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। সেই কর্মসূচি রয়েছে দুপুর চারটের সময়।
আগরতলা বিমানবন্দরে নেমে বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বলেছেন, ‘‘দরকার পড়লে বারবার ত্রিপুরায় আসব। স্থানীয় নেতৃত্বের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা ত্রিপুরার সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেব। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়ন ও লড়াকু নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা আমরা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।’’ আগরতলা বিমানবন্দর থেকে ত্রিপুরার বামেদের জন্যও বার্তা দেন ব্রাত্য। বলেন, ‘‘ত্রিপুরায় বামেদের সঙ্গে কোনও জোট হবে না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের বামেদের সঙ্গে এই রাজ্যের বামেদের চরিত্রগত পার্থক্য আছে। তাঁরা মাটির কাছাকাছি থেকে লড়াই করছেন। চাইলে বাম নেতাকর্মীরা তৃণমূলে আসতে পারেন। তাঁরা জানেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রকৃত লড়াই লড়ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’
পাল্টা ত্রিপুরায় বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি মানিক সাহা তৃণমূলের নেতৃত্বের সফর নিয়ে বলেন, ‘‘যে কোনও রাজনৈতিক দল কর্মসূচির জন্য আসতেই পারেন। আমরা ওদের রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করব।’’